উঁচু নিচু পাহাড়ী পথের অপূর্ব সম্মিলন মনোরম দৃশ্যপট আলীকদমে একদিন…..

এম আবুহেনা সাগর,পাবর্ত্য এলাকা আলীকদম ঘুরে
সড়কের দুপাশ জুড়ে সবুজ গাছগাছালিতে ভরপুর,উচুঁ নিচুর পাহাড়ী পথের অপূর্ব দৃশ্য পটের আরেক নাম হচ্ছে পাবর্ত্য বান্দরবানের আলীকদম। অন্যরকম দৃশ্য বটে।  উচু পাহাড়ের উপর আকাঁবাঁকা পিছঢালা সড়কে উঠলে পুরো শরীর যেন শিহরিত হয়ে উঠে। উপর থেকে নিচের দিকে তাকালে  দেখা যায় সবুজ  আর সুবজ।  চারপাশের প্রকৃতির সবুজ পরিবেশ  প্রশান্তির আবহ সৃষ্টি করে। ছোট কালে কাল পাহাড়ের নাম শুনেছিলাম,আজকে তা স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হল। জীবনের প্রথম পা দেয়া অজানার ভুবনে মনোরম দৃশ্যপট আলীকদমের কথা স্মৃতির মনেকৌঠায় অম্লান হয়ে থাকবে।
সকাল সাড়ে নয়টায় প্রচন্ড বৃষ্টি পাতকে উপেক্ষা করে সদরের ঈদগাঁও থেকে যাত্রা। সাড়ে দশটায় চকরিয়া ষ্টেশনে পৌছলাম। সেখান থেকে পাহাড়ী এলাকার বাস মায়ের দোয়া পরিবহনে টিকেট করে,যাত্রা করছি আলীকদমের দিকে। প্রচন্ড বেগে চলছে গাড়ী, রাস্তার দুই পাশে প্রাকৃতিক দৃশ্য পাহাড় আর হরেক রকমের গাছ পালা। যতদূর গাড়ী সামনের দিকে এগুচ্ছে, ততদূর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য যেন চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে। নতুন জায়গা,নতুন মানুষ সবই অচেনা জনপদ। চলছি গন্তব্যের পথে। প্রায় ঘন্টারও বেশি সময়ের পর পৌছলাম সেই আলী কদম বাজারে। তখন দুপুর সাড়ে বারটা ছুঁই ছুঁই। সেখানে পান বাজারস্থ এক অভি জাত হোটেল থেকে দুপুরের ভোজন শেষে যাত্রা হল আরেক মেঠোপথ দিয়ে। বাহন ছিল মোটর সাইকেল। “রাখে আল্লাহ মারে কে” এ বাক্যকে স্বরন করে চলছি ভ্রমনের পানে। যাচ্ছি আকাঁ বাঁকা আর উচুঁ নিচু পাহাড়ী পথ বেয়ে। শুন্য পাহাড়ী জন পদ,নেই কোন মানব। ভয়-আতংক দুটোই সাথে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি মেঠোপথ দিয়ে। এ পথ চলা কবে শেষ হবে জানিনা ? কিন্তু থানছি সড়কের পথিমধ্যে ১১ কিলোমিটার ইসলামপুর মুসলিম পাড়া জামে মসজিদের সাইনবোর্ড। তখন দুইটা পার হয়ে যায়। সেখানে জুহুরের নামাজ আদায়।জেনেছি মসজিদটি কক্সবাজার সদর যু্বলীগ সাধারন সম্পাদক রাজিবুল হক রিকোর মরহুম পিতা এনামুল হক চৌধুরীর নামে করা হয়েছে। সেখান থেকে থানচিতে ঘুরে ফিরে একদিনের ভ্রমন শেষে রাত সাড়ে আটটায় প্রিয় জন্মভূমি ঈদগাঁওতে এসে পৌছলাম। তবে ভ্রমন শেষে প্রায় কিলোমিটারের মত জায়গা পায়ে হেঁটে আসার পথে পথচারীর সাথে কথা হলে,পাহাড়ী এলাকার লোকজন জুম চাষাবাদ করে কোন রকম বেঁচে আছে। আবার অনেকে মৌসুম ভিত্তিক ফলফলাদীর চাষাবাদ করে থাকেন বলে জানান। সবমিলিয়ে নতুন পাহাড়ী জনপদে দিন ব্যাপী ভ্রমনটি খুুুুবই মজাদার হলো।
  •  
  •  
  •  
  •  
  •