আজ ইতিহাস নির্মাণের দিন, ভ্যালেন্টাইনের নয়!

 

এইচ,এম নজরুল ইসলাম

ভালোবাসার রং কী? প্রশ্ন একটি, উত্তর ভিন্ন ভিন্ন। রক্তের স্্েরাত, বুট, টিয়ারশেল আর গুলির তীব্র ঝাঁজালো বারুদের গন্ধ এমন ভাবে ভালোবেসে সবাইকে ঋণী করে আজ ১৪ ফেব্রæয়ারি। ভাষা আন্দোলনের আত্মদানের ফেব্রæয়ারি। এরশাদের আমলে প্রতি ফেব্রæয়ারিতেই ছাত্ররা রুখে দাঁড়াতেন। এর আগে পরেও প্রায় প্রতি ফেব্রæয়ারিতেই বাংলাদেশ লড়েছে ও শহীদের লাশ কাঁধে করে বয়েছে। ঠিক এটাও আরেক ফেব্রæয়ারি। আজ ১৪ ফেব্রæয়ারি
স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস ঢেকে গেছে ভালোবাসা দিবসের আড়ালে। কিন্তু বিদ্রোহের ১৪ ফেব্রæয়ারি সঙ্গে তো ভালোবাসারই মিলে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই মিলন হতে দিচ্ছে না পণ্য ও ভোগকেন্দ্রিক বাজারি দিবস ভ্যালেন্টাইন। এ এমন এক যুগ, যখন ইতিহাস ও স্মৃতির বাছাই চলছে। যে ইতিহাস ও স্মৃতির পক্ষে ক্ষমতা ও ব্যবসা আছে, তারই বাজার রমরমা। সেই স্মৃতিই পুষে রাখা হয়, যা ক্ষমতাবানদের জন্য নিরাপদ। বাকিদের পাঠানো হয় বিস্মৃতির হিমঘরে।
ভালোবাসা দিবস তাই যত জাগ্রত আজ, তত জাগ্রত নয় ১৪
ফেব্রæয়ারি শহীদদের চেতনা ও স্মৃতি। অথচ এ দুয়ের মধ্যে কোনো বিরোধ থাকার কথা নয়।
তারই ধারাবাহিকতায় সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে তথাকথিত আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস!
প্রিয় পাঠক বেশ কয়েক বছর ধরে আজকের বিশেষ দিনটি নিয়ে লিখালিখি করি। আর প্রতি বারেই ব্যক্তির প্রেমকে আড়াল করেছি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কারনে অনেকেই বলে আমি খুব রোমান্টিক এবং প্রেমিক যার কারনে আমারও চারু, পার্বতী, চন্দ্রমুখী,সমুদ্র কন্যাদের স্বরণে স্ট্যাটাস দিতাম! যাদের নিয়ে আমি বার বার রচনা তৈরি করে চলছিলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাই লিখার শুরুতেই দেশপ্রেম থেকে তাদের নিয়ে শুরু করলাম, কারই আমি যতই চারু, চন্দ্রমুখি, পার্বতী, বালিকা, সমুদ্রকন্যার প্রেমিক হয়না কেন, আমার সব প্রেম ভালোবাসা দেশকে নিয়ে আমার প্রিয় কক্সবাজারকে নিয়ে।
তবুও বলতে হয় কে সেই রহস্যময় রমণী গুলো! পাঠক জীবনের অন্য সব কিছুর কারণ ব্যাখ্যা করতে পারলেও, কেন ভালোবেসেছি বলতে পারব না। প্রেম কী, ভালোবাসাকে কীভাবে মূল্যায়ন করি এধরনের প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক নয়। প্রেম, ভালোবাসা নিয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন যেমন করা যায় না তেমনি কোন উত্তরও দেওয়া যায় না। এটা এমন একটি বিষয় যা নিয়ে কথা বলে শেষ করা যাবেনা। এবার বলি আমার ভালোলাগা আর ভালোবাসা নিয়ে কিছু গল্প, শুরুতেই বলছি প্রেম ভালোবাসার মূল্যায়ন করার মতো গল্পকার আমি নয়! তবে যাদের দেখে না দেখে প্রেম নামক শব্দটি নিজের মাঝে প্রতিস্থাপন করেছি তাদের বহু নামে বহুরূপে দেখি সেই বালিকাদের নামই চারু, চন্দ্রমুখি, সাগরকন্যা, পার্বতী। বলতে গেলে প্রিয় মুখ গুলোকে বহু নামে ডাকি। একাকিত্ব ভাবে চলতে চলতে কোন এক সময়ে হয়তো দেখেছি, আকাশে মেঘের জোয়ার, নীল প্রজাপতি উড়ে বেড়ায় শরতের কাশফুলে, দিগন্তে মাথা নত করে সাদা মেঘের দলগুলো। রাস্তার পাশে বসে দেখছিলাম বলেই ফুলের বুকে মৌমাছির আনাগোনা আর হৃদয় ক্যাম্পাসে আঁকছিলাম স্বর্ণলতার মতো তাদের সুন্দর হাসি মাখা মুখটাকে। সেই থেকে স্বপ্ন ভিলাসী মানুষ গুলো অনেক দূরে দূরে থাকে, হয়তো ঐদূর আকাশের মতো নয়। আজ বোধহয় বড্ড বেশি মনে পড়ছে স্বপ্নে দেখা রাজকুমারীদের। প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে বলি তারপও বারবার জানতে ইচ্ছা করছে তোমরা কেমন আছো? হয়তো এসব আমার কিছু অপ্রকাশিত আবেগ! মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করে দেই নিজেই।
প্রিয়তমা জান তখন আমি লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করি আকাশের সাথে আর ঐসব ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা মানুষ গুলোর সাথে কারন কেন জানি মনে হয় তাদের মাঝে লুকিয়ে আছে আমার ভালবাসার মানুষটি।
হয়তো তাই নির্জনে বসে ভালবাসার কবিতা লিখতে ছুটে চলি তবে কিছু শেষ হয় কিছু শেষ হয় না। ঠিক তখনই চোখের সামনে বেশে উঠে, অধিকার বঞ্চিত মানুষ গুলোর বিবর্ষ মুখ।
বালিকা তোমার মাঝে আমার ভালোবাসা উজাড় করতে গিয়ে সেই ভালোবাসা প্রতিবাদের ভাষায় বিস্ফোরিত হয় যায় তখন যখন দেখি সুন্দর্য্যের রাজধানী প্রিয় কক্সবাজার আজ রক্তাক্ত প্রতিনিয়ত লুটপাট হয় সমুদ্র বালিয়াড়ি থেকে বাঁকখালী আর কোহেলিয়া নদী। দ্বিখন্ডিত হয়ে গেল বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত,রোহিঙ্গা আর তাদের আশ্রয়দাতাদের হাতে ধর্ষিত হয় পাহাড় থেকে প্রকৃতি। এসব দুঃস্বপ্ন গুলো আমাকে কখনো ব্যক্তি বিশেষের প্রেমিক হয়ে উঠার সুযোগ দেয়নি। আমার কাছে ভালোবাসা বলতে শুধু তুমি নামক শব্দের কাছে কখনো বন্ধী ছিলনা। বহুপ্রেমের রঙিন স্বাক্ষী হয়ে থাকার সুযোগ হলেও প্রেমিকা হিসেবে আমার কাছে দেশটাই সেরা ছিল সবসময়। তুমি কি দেখনা স্বাধীন ভূখন্ডে ‘আদিবাসী’ সাঁওতাল সম্প্রদায় বিভিন্ন কারণে আজ তাদের স্বকীয়তা হারাচ্ছে। নানা প্রতিকূলতায় তারা আজ জর্জরিত। ফলে নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে টিকতে না পেরে তারা ধর্মান্তরিত হচ্ছে। অথচ সাঁওতাল সম্প্রদায় যুগে যুগে বিভিন্ন সংগ্রামে অংশ নেওয়া নিপিড়িত সাঁওতাল সম্প্রদায়ের খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর বিবর্ষ হয়ে পুড়া মুখটি কেবল আমার প্রেম হয়ে উঠে।
তুমি কি জান পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ১৩ টি উপজাতির জীবন যাত্রা স্বতন্ত্র, বৈচিত্রময় সহজ সরল। এই নৃগোষ্ঠী আজ বিলুপ্ত হতে চলছে, রাষ্ট্রযন্ত্রের আঘাতের মাঝেও নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে যাচ্ছে রক্তাক্ত হচ্ছে পাহাড়ের ভূমি! তাদের মাঝে আমি প্রেম খুঁজি বিলুপ্ত হতে যাওয়া জাতিগোষ্ঠীর মাঝে আমার বেঁচে থাকার কবিতা লিখি।
প্রিয়তমা হয়তো এই আমার অপরাধ, তোমার ভালবাসার চাইতে তাদের ভালবাসা আমাকে সারাজীবন,সারাটি বছর ভালবাসতে শিখিয়েছে তাদের। প্রিয় তুমি কি জান?
এই ফেব্রæয়ারিতে জন্ম নেওয়া শাহবাগ গণজাগরন চত্বরে চলা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করা সেই যুবক-যুবতিদের দেশপ্রেমের ইতিহাস রচনা হয়েছিল। সেইদিন তারুণ্যের ভালবাসা দেখেছি দেশপ্রেমের প্রতি সবকটি হাত ঐক্যবদ্ধ। দেখেছি সবকটি হাত ছিল প্রতিবাদী।
অথচ এসব দেশপ্রেমের অগ্নি সংগ্রামকে ভুলে আমরা হারিয়ে যাচ্ছি তথাকথিত ভ্যালেন্টাইন নামক অপসংস্কৃতিতে!
আজ আবারও মনে হচ্ছে চোখদুটো খুলতে হবে,আনন্দের নীল পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ানো যাবেনা আর। আমি আর তুমির মত চরম স্বার্থপর,সমাজ বিচ্ছিন্ন চেতনা যুব সমাজের মধ্যে চাপিয়ে দিতে পেরেছে। প্রেম ভালবাসার মত স্বাভাবিক সম্পর্ককে অতিপ্রাকৃত বিষয়ে পরিণত করে আফিম নেশার মত বুঁদ করে ফেলেছে। ভোগবাদ আর তাদের আদর্শ। এ ব্যক্তিগত ভালবাসার একপিঠে কাম,আরেক পিঠে কর্পোরেট কালচারের উস্কানি।
যৌনতা ও অশ্লিলতার মাদকতার আসক্তি আজ সর্বব্যাপী রূপ নিয়েছে ।
অন্যদিকে শাসক শ্রেণী এ থেকে লাভ তুলে নিচ্ছে দু ভাগে সমাজের সবচেয়ে প্রাণবন্ত লড়াকু অংশ যুব সমাজকে মুক্তির লড়াই থেকে বিচ্ছিন্ন ও নিজীব করে ফেলে এবং দিনটিকে বানিজ্যের মহোৎসবে পরিণত করে।
মূল কথায় যাওয়ার আগে বলতে বা লিখতে চাই ১৪ ফেব্রæয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস নিয়ে এই পর্বসহ ৯ম সংখ্যা আমার। তবে কোন লেখাতে প্রচলিত ভালবাসার পক্ষে লিখার সৌভাগ্য হয়নি। তাই বলতে চাই আমি ভালবাসার বিপক্ষে নয় তবে, বিশ্ব ভালবাসার দিবস এর বিরুদ্ধে কারণ আমার কাছে ভালবাসার কোন নিদিষ্ট দিন বা তারিখ থাকতে পারেনা!
আমাদের জানতে হবে কেন ১৪ ফেব্রæয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস এর জন্ম হল,
আমরা একটু ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানতে পারি, রোমে ধর্মযাজকের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেন্ট ভ্যালেন্টইন নামের এক ব্যক্তি। তিনি সেন্ট ম্যারিয়াস খীস্টান ধর্মাবলম্বী তরুন-তরুণীদেও গোপনে বিয়ে দিতেন। আর বিবাহিত যুগলদেও সহযোগিতা করতেন। এ অপরাধে রোমের ম্যাজিস্ট্রেট তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। আর বন্দী থাকা অবস্থায় অনেক তরুন তাকে দেখতে যেতো। জানালা দিয়ে তার উদ্দেশে লেখা চিরকুট ও ফুল ছুড়ে দিতো। হাত নেড়ে জানান দিতো,তারা যুদ্ধ নয়.ভালাবাসার বিশ্বাসী। এদের মধ্যে একজন ছিল কারারক্ষির মেয়ে। তার বাবা তাকে ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দিতেন এক পর্যায়ে তারা একে অপরের বন্ধু হয়ে যান। মৃত্যুর আগে ভ্যালেন্টাইন মেয়েটির উদ্দেশ্য করে এক চিরকুট লিখে যান। এতে লেখা ছিল লাভ ফ্রম ইয়র ভ্যালেন্টাইন। বিচারকের নির্দেশ অনুসারে ভ্যালেন্টাইনকে হত্যা করা হয় । আর সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের দিনটি ছিল ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রæয়ারি। তারেই ধারাবাহিকতায় ১৪ ফেব্রæয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পাঠক আমারা অভাগা বাঙ্গালী তাই কোথাকার কোন ভ্যালেন্টাইনের কথা মনে রেখে ১৪ ফেব্রæয়ারিকে
বিশ্ব ভালবাসা দিবস হিসেবে পালন করে যাচ্ছি । কিন্তু আমরা কি একবারও চিন্তা করেছি ১৪ ফেব্রæয়ারি এ বাংলায় কি হয়েছিল। সময়টা ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ডাকে ছাত্র জমায়েত। মজিদ খানের কুখ্যাত শিক্ষাণীতি প্রত্যাহার,বন্দী মুক্তি ও জনগনের মৌলিক গণতান্ত্রিক বুকে বুলেটে দমনের চেষ্টা করে এক বিরাট তরুণ সমাজের এক প্রতিরোধ মিছিল। এমনকি তৎকালিন সময়ে বুলেটের মুখে প্রাণ দেয়, জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দিপালীসহ সারাদেশে অন্তত ১০ জন তরুন। সেই সময়ের সরকারি হিসেবে গ্রেফতার হয় ১ হাজার ৩১০ জন। তাই ১৪ ফেব্রæয়ারি হয়ে ওঠে মুক্তিকামী মানুষের প্রতিরোধ চেতনার দিন। সে থেকে দিনটি পালিত হচ্ছে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে !
১৯৮৩‘র’ পরবর্তি সামরিক স্বৈরাশাসক কয়েক বছর না যেতেই ১৪ ফেব্রæয়ারিকে“ভ্যালেল্টাইনস ডে” হিসাবে পালনের জন্য নষ্ট স্রোতের মুখপত্র যায়যায়দিন প্রচার শুরু করে। পাকিস্তানিরা ৫২ তে ব্যর্থ হলেও আজ ক্যাবল আর স্যাটেলাইট চ্যানেলের কল্যাণে সফল হয়েছে শাসক শ্রেণী। ১৯৮৩ সালে ১৪ ফেব্রæয়ারি মজিত খানের কুখ্যাত শিক্ষাণীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তৎকালিন তরুণ সমাজ রক্ত দিয়ে হইতো স্বৈরাচারী শাসক এরশাদ এর পতনের সূচনা হলেও আজ স্বৈরাচারী এরশাদের শাসন ব্যবস্থা পূণর্বাসিত হয়েছে সংসদীয় ব্যবস্থায়। সেইদিন একটি বাস্তবমুখী শিক্ষাণীতির জন্য ছাত্র-যুব সমাজ রক্ত ঝরালেও আমরা এখনো আমাদের প্রচলিত ভোগবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পারিনি। এখনো শিক্ষা ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে। শিক্ষাঙ্গনে চলছে খুনোখুনি । আজ প্রতি মূহুর্তে ছাত্র-যুব সমাজকে দেশপ্রেমিক,জাতি ও জনগনের সেবক হিসাবে গড়ে না তুলে নৈতিক অবক্ষয়ের চরমে ঠেলে দেয়ার সবরকম আয়োজন চলছে।
নষ্টদের হাতে চলে যাচ্ছে ফেব্রæয়ারি। ৫২ একুশ থেকে তিরাশির ১৪ফেব্রæয়ারি আমাদের ফেরার জায়গা শেখায়। যে ফেব্রæয়ারিতে
জাতীর শ্রেষ্ট সন্তানেরা বুকের রক্ত দিয়ে আমার মুখের ভাষাকে রক্ষা করেছিল,আর আমাদের মর্যদার আসনে বসিয়েছে। এত রক্তের দামে কোন জাতি ভাষা কিনেনি! কোন জাতি ভাষাকে এত ভালবাসেনি। অথচ ‘ক’ বছর ধরে ভ্যালেন্টইন নাম দিয়ে ভালবাসা দিবস নামে আলাদা একটি দিবস পালন করে যাচ্ছে আমাদের এ প্রজন্ম।
আমরা কি একবারও মনে করেছি কি আজ ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। ফুল ফুটবার পুলকিত হওয়ার এই দিনে বন বনান্তে কাননে পারিজাতের রক্তের কোলাহলে ভরে উঠছে চারিদিক।
জন্মলগ্ন থেকে দৌড়ে চলেছি হঠাৎ মনে হল পেছনে তাকাই তাই একটু তাকিয়েছিলাম ! তাকিয়ে হতবাগ হয়ে রই, আমি কোথায় আর আমার সেই ইতিহাস নির্মানের অতিক্রান্ত পথটা কোথায় । তুমি তোমরা আমাদের এই সুনালী ইতিহাস থেকে এত দূরে কেন ! তবে আমি বার বার ছুঁয়ে দেখবার চেষ্টা করি ফেলে আশা ইতিহাস গুলো।

লেখক
এইচ.এম নজরুল ইসলাম
সভাপতি
রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার
সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত)
দৈনিক কক্সবাজার বার্তা

  •  
  •  
  •  
  •  
  •