ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ চায় হেফাজত

হাটহাজারীতে বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত চারজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিতে চায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। দুপুরের পর থেকে
চট্টগ্রাম মেডিকেলের মর্গে চারজনের মরদেহ রাখা হয়েছে।

তবে পুলিশের পক্ষ থেক আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য না এলেও লাশের পাশের ডিবি, সোয়াত ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়ন রয়েছে। লাশ নিতে দুপুপরের পর থেকে চমেকের জরুরী বিভাগের সামনে অবস্থান করছেন হেফাজতের আমির হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী৷

রাত সাড়ে আটটার দিকে চমেক হাসপাতালের সামনে নিহত দুজনের অভিভাবককে সাথে নিয়ে সাংবাদিকদের সাসনে কথা বলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, ‘আসাম, গুজরাটে মুসলিম নিধনকারী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে দেশকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। সেকারণে শান্তিপূর্ণভাবে হাটহাজারীতে হেফাজতের কর্মীরা আন্দোলন করলেও পুলিশ গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করেছে। তাই কোনও পোস্টমর্টেম ছাড়া আমরা তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে চাই।’

মর্গের সামনে সতর্ক অবস্থানে সোয়াত

মর্গের সামনে সতর্ক অবস্থানে সোয়াত

যদিও চমেকের মর্গে মরদেহ ছিল চারজনের। আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া কীভাবে লাশ নেয়া হবে জানতে চাইলে উপস্থিত হেফাজতের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুফতী হারুন ইজহার বলেন, ‘এ পুলিশ ভারতের দালাল। তারা দুর্নীতিবাজ। তারা বিনাদোষে যেভাবে আমার ভাইদের গুলি চালিয়ে হত্যা করতে পারলে সেখান থেকে তাদের কাছে কোনও দাবি বা আস্থা নেই। আমরা সরকারকে বলব পোস্টমর্টেম ছাড়া লাশ দিয়ে দিক।’

এসময় নিজতের দুজনের স্বজনও তাদের কোনও অভিযোগ নেই জানিয়ে বিনা পোস্টমর্টেমে লাশ দিতে আহ্বান জানান।

এর আগে এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের মো. মেহরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহের মো. আব্দুল্লাহ মিজান, হাটহাজারীর মো. জসিম ও কুমিল্লার মো. রবিউল ইসলাম।

সুত্রঃ সিভয়েস

  •  
  •  
  •  
  •  
  •