মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফঃ
টেকনাফে র্যাবের সাথে গুলিবিনিময়কালে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপ হাসেম বাহিনীর প্রধান হাসিমুল্লাহ (৩৩) বন্দুকযুদ্ধে নিহত। এ ঘটনায় র্যাবের ২সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানাগেছে।
সূত্রে যানা যায়, ১৬ জুলাই ভোররাতে টেকনাফ উপজেলাস্থ জাদিমুড়া ২৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ের পাদদেশে ডাকাত দলের মধ্যে গুলাগুলির খবর পেয়ে র্যাব ১৫ এর একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতদল র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। এসময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। গুলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে র্যাব বিপুল পরিমাণ
বিদেশী পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও ম্যাগাজিনসহ
গুলিবিদ্ধ আহত এক রোহিঙ্গা ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত রোহিঙ্গা হলেন জাদিমুড়া ২৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বশির আহমদের পুত্র শীর্ষ ডাকাত হাশেম উল্লাহ(৩৩)।
স্থানীয়রা জানায়,হাশেম উল্লাহর নেতৃত্বে ক্যাম্প এবং ক্যাম্পের আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত ডাকাতদের সমন্বয়ে অপহরণ,মুক্তি বাণিজ্য,ডাকাতিসহ ইয়াবা লুটপাটের ঘটনা বহুদিনের। সম্প্রীতি তার নেতৃত্বে ডাকাতদল বেপরোয়া হয়ে উঠে। এদিকে হাশেম উল্লাহ বন্দুকযুদ্ধে নিহতের খবরে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের মাঝে স্বস্থি দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা ক্যাম্প এবং ক্যাম্পের বাহিরে অবস্থানরত ডাকাতদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রাখার দাবী জানান।
র্যাব -১৫ টেকনাফ ক্যাম্পে দায়িত্বরত এএসপি বিমান কুমার কর্মকার সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, নিহত এ রোহিঙ্গা ডাকাতে বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানার মাদক, অপহরণ, মুক্তিপণ, ডাকাতিসহ ৫ টি মামলা রয়েছে। লাশ কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে।