কক্সবাজার সদর হাসপাতালের অবহেলায় স্কুল ছাত্রীসহ আহত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সংলগ্ন বহুতল নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলা থেকে টাইল্স ও গাছের অংশ পড়ে স্কুল ছাত্রীসহ ৩ পথচারী আহত হয়েছেন। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রোববার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে হাসপাতালের দুই নম্বর গেট সংলগ্ন পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- শহরের বাসটার্মিনাল এলাকার মৌলবি খালেদের মেয়ে তাহেরা সিদ্দিকা নিগার (৩৪) ও তাঁর নাতনী নাজিয়া সুলতানা নিসি (১৪) এবং একজন পথচারী। আহত নাজিয়া সুলতানা নিসি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত তাহেরা সিদ্দিকা নিগার ও নাজিয়া সুলতানা নিসি একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছিল চোখ পরীক্ষার রির্পোট নেয়ার জন্য। এরই মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলা থেকে বেশ কয়েকটি টাইল্স আর গাছের অংশ পড়ে। এতে নিগারের মাথা ফেটে যায়। নিসি’র পিঠে আঘাত লাগে এবং এক পথচারীর পায়ে জখম হয়।

আহত নিগারের ভাই আরফান উল্লাহ্ জানান, তার বোন নিগারের অবস্থা আশঙ্কা জনক। তাকে ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। মাত্র দুই বছর আগে ব্রেন টিউমারের কারণে নিগারের মাথায় অপারেশন করা হয়েছিল। ওখানে আবারও আঘাত। এতে তার পরিবার খুবই আতঙ্কে রয়েছেন।

তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ি করে বলেন, ‘এই ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই দায়ি।’

তার অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে কাজ করার ফলেই এ ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য তিনি প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

বহুতল ভবনটির নির্মাণ কাজ করছে হায়দার কনস্ট্রাকশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। এ ব্যাপারে হায়দার কনস্ট্রাকশনের এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফা জানান, এটি একটি দুর্ঘটনা। আহতের চিকিৎসার খরচ চালানো হচ্ছে।

তবে নির্মাণ কাজে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করার বিষয়ে কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। পরবর্তীতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস.আম.নাওশেদ রিয়াদ জানান, বিষয়টি তিনি অবগত।

এ নিয়ে তিনি দুঃখ্য প্রকাশ করে বলেন, ‘হাসপাতালের ভবনটির কাজ করছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। আর এই সংস্থার অধিনেই ভবণ নির্মাণের কাজ করছে হায়দার কনস্ট্রাকশন।’

নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক কলিম উল্লাহ বলেন, ‘রাস্তার পাশে সদর হাসপাতালের বহুতল ভবন নির্মাণে কোন সেফটি নিশ্চিত করা হয়নি। এতে আরো বড় কিছু হতে পারত। এটি হাসাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছাড়া কিছুই না ‘

  •  
  •  
  •  
  •  
  •