জলকেলি উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আনন্দ-উচ্ছ্বাস

এম.এ আজিজ রাসেল:
জমে উঠেছে রাখাইন সম্প্রদায়ের মাহা সাংগ্রেং পোয়ে বা মেত্রিময় জলকেলি উৎসব। ১৮ এপ্রিল উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আনন্দ উচ্ছ¡াসে মেতে উঠে রাখাইন তরুন-তরুনীরা। তাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসবের বর্ণিল আবহে শরীক হয়েছে ছোট্ট শিশু ও প্রবীণরাও।

সোমবার দুপুরে শহরের জলকেলির প্যান্ডেল ঘুুরে দেখা যায়, টেকপাড়া, হাঙর পাড়া, বার্মিজ স্কুল এলাকা, চাউল বাজার, ফুলবাগ সড়ক, পূর্ব-পশ্চিম মাছ বাজার, ক্যাং পাড়া ও বৈদ্যঘোনাস্থ থংরো পাড়ায় দুপুর থেকে স্ব স্ব রাখাইন পল্লী থেকে বাদ্য বাজনার তালে তালে দলবেঁধে ছুটে যায় রাখাইন তরুণরা। আর প্যান্ডেলগুলোতে আগে থেকে সেজে গুঁজে অপেক্ষামান তরুণীরা এক অপরকে মঙ্গল জল ছিটিয়ে পুরোনো বছরের হতাশা দূর করে নব আলোকে পথ চলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) জলকেলি উৎসবের সমাপনী দিন। শহরছাড়াও মহেশখালী, টেকনাফ সদর, হ্নীলা চৌধুরী পাড়া, রামু, পানিরছড়া, চকরিয়ার মানিক পুরসহ রাখাইন অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সপ্তাহ জুড়ে রাখাইরন নববর্ষ পালনে নানা অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে। রাখাইন এলাকার প্রতিটি বাড়িতে এখন উৎসবের বর্ণিল আবহ বিরাজ করছে। উৎসবের মূল লক্ষ্য অতীতের সকল ব্যথা-বেদনা, গøানি ভুলে ভ্রাতৃত্ববোধের মাধ্যমে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া।

কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক জানান, আধিকাল থেকে রাখাইন নববর্ষ উপলক্ষে সামাজিকভাবে সাংগ্রেং পোয়ে উৎসব পালন হয়ে আসছে। এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি। আনন্দ-উল্লাসে নতুন বছরকে বরণ করছে সবাই।

সাবেক সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন বলেন, সময়ের আবর্তে এটি সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। আজ উৎসবের সমাপনী দিন। এ পর্যন্ত মাহা সাংগ্রেং পোয়ে বা জলকেলি উদযাপনে কোন বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি। এজন্য জেলা পুলিশসহ প্রশাসনের কাছে আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রাখাইনদের জলকেলি উৎসবে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোন অঘটন ছাড়া এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •