কক্সবাজারে রথযাত্রা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন

 

শিপন পাল:

যথাযথভাব গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হলো জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। জেলাব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে এই রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় আমেজে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ ভক্ত ও জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে রথযাত্রা হয়ে উঠে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন।
গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) কক্সবাজারের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় রথযাত্রা অনুষ্ঠানের। আয়োজকরা জানান, দুই বছর পর আবারও শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব তার ভ্রাতা বলরাম আর ভগ্নি শুভদ্রাকে নিয়ে জগৎবাসীকে কৃপা করার জন্য রাজপথে সুবিশাল রথসহকারে পরিভ্রমনে বের হন। সাথে ছিলেন হাজার হাজার ভক্ত দর্শনার্থীবৃন্দ। কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়াস্থ শ্রী শ্রী রাধা দামোদর মন্দিরে রথযাত্রার এই অনুষ্ঠান শুরু হয় বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে।
শহরের গোলদীঘির পাড় এলাকায় দেখা যায়, দুপুর আড়াইটায় ঐতিহাসিক গোলদীঘি চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কীর্তন মেলা।
বিকাল ৩টায় শুরু হয় রথযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধক ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম, প্রধান বক্তা ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি বাবুল শর্মা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জল কর, সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ, জেলা হিন্দু মহাজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী প্রমুখ। রথযাত্রায় সকলের উদ্দেশ্যে আশির্বানী প্রদান করেন ইস্কন কক্সবাজার শ্রী শ্রী রাধা দামোদর মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমান রাধা গোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী।
কক্সবাজার ইস্কন রথযাত্রার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রথযাত্রা বিশাল র‌্যালী সুবিশাল রথসহকারে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুগন্ধা পয়েন্ট হয়ে লাবনী পয়েন্ট সমুদ্র সৈকত হয়ে আইবিপি মাঠস্থ শ্রী শ্রী হরি মন্দিরে এসে শেষ হয়।
এছাড়াও সদর উপজেলার খুরুশকুলেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে রথযাত্রা অনুষ্ঠান। টাইমবাজারস্থ জগন্নাথ মন্দির (বনমালি সাধুর বাড়ি) থেকে রথ টেনে পাল পাড়া রাস বিহারী মন্দির এলাকায় রথ নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ও কড়া নির্দেশনায় রথযাত্রা অনুষ্ঠানে হাজারো ভক্তবৃন্দের পদচারণা লক্ষ্য করা যায়।
  •  
  •  
  •  
  •  
  •