দুর্গাপূজায় সম্প্রীতি বিনষ্ট করলে ছাড় দেওয়া হবে না

 

এম.এ আজিজ রাসেল:
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী ঋতিক চৌধুরী, অতিরিক্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মহিউদ্দিন আলমগীর, র ্যাবের মিডিয়া কর্মকর্তা বিল্লাল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ, সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাবুল শর্মা, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর ও সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ।

জেলা প্রশাসক মো মামুনুর রশীদ বলেন, প্রত্যেক ধর্মে শান্তি ও সৌহার্দ্যের বাণী আছে। এসব বাণী ভালভাবে প্রচার করতে হবে। সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় দল মত নির্বিশেষে কাজ করতে হবে। কেউ সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না।

পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ মন্দির ও মণ্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি কক্সবাজারে দুর্গাপূজায় কেউ কুমিল্লার মতো ঘটনা সংঘটিত করা চেষ্টা করে তাহলে জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ছিনতাই, কিশোরগ্যাং ও অপ্রীতিকর ঘটনা রোধেও সতর্ক থাকবে পুলিশ। সৈকতে যারা ইভটিজিং করে তাদের ধরে প্রথমে বাবা-মা ও সমাজপতিদের দেওয়া হবে। পরে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।”

সভায় বক্তারা বলেন, “ফেসবুকে ফেইক আইডি নিয়ে বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়ানো হয়। পুজা চলাকালীন ষড়যন্ত্রকারীরা সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনে। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন আসলে সনাতনী সম্প্রদায়ের উপর ঝড় বয়ে যায়। এতে রাজনীতিকরা জড়িত থাকে। এছাড়া প্রধান সড়ক সংস্কার আরও দ্রুত গতিতে শেষ করতে হবে।”

বক্তারা আরও বলেন, “সৈকতের বালিয়াড়িতে সৃষ্ট গর্ত বিসর্জনে ব্যাঘাত ঘটাবে। তাই এ বিষয়ে এখন থেকে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ এসেছে। এ জন্য সম্মিলিতভাবে সমৃদ্ধিময় দেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে।”

জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর ও সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ বলেন, এবার মা দুর্গা মত্যে আগমণ করবেন নৌকায়। জেলায় ৩০৫টি মণ্ডপে মহাসমারোহে উদযাপন হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া ও ৩০ সেপ্টেম্বর পঞ্চমী। ১ অক্টোবর ৬ষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পাঁচদিন শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে। ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হবে।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি রতন দাশ, উদয় শংকর পাল মিঠু, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, ডা. চন্দন কান্তি দাশ, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি দীপক শর্মা দিপু, অর্থ সম্পাদক স্বপন গুহ, সদর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের এডভোকেট বাপ্পি শর্মা, সাধারণ সম্পাদক বলরাম দাশ অনুপম, শহর পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জনি ধর, ঈদগাঁও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মৃণাল আচার্য, চকরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন দাশ, পেকুয়া পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুমন বিশ্বাস, কুতুবদিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীর দাশ, টেকনাফ উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিবুপদ ভট্টাচার্য্য, মহেশখালী উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক গোপাল ঘোষ, উখিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন শর্মা রনি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রবীন্দ্র দাশ ও চকরিয়া পৌর পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিলুৎপল দাশ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •