রামুতে ইয়াবা উদ্ধারের নামে গরু ডাকাতি

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজারের রামুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একটি সংজ্ঞবদ্ধ ডাকাতদল একই রাতে লুট করে নিয়ে যায় দুই পরিবারের পাঁচটি গরু। রবিবার(২০ নভেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মধ্যম মেরংলোয়া গ্রামের মোবাশ্বর আহমদের বাড়ি থেকে বাচুরসহ তিনটি ও নূর আহমদের বাড়ি থেকে বড় দুইটি গরু লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য চার লক্ষ টাকা বলে ধারনা করা হচ্ছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল হাকিম জানান, রবিবার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে রাত তিনটার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এসময় গাড়িতে করে সংজ্ঞবদ্ধ কিছু লোককে মহল্লার রাস্তায় ঘুরাফেরা করতে দেখে তাদের পরিচয় জানতে চান। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেয় এবং ইয়াবা পাচারকারীকে ধরতে এসেছে বলে প্রতিত্তোরে জানান। এ সময় ডাকাতদলের হাতে বন্দুক দেখে ভীত ও সংকিত হয়ে প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল হাকিম বাড়িতে ঢুকে পড়েন বলে জানান।

রামু প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ ভুট্টো জানান, তার বড় বোন কষ্ট করে দুইটি গরু লালন পালন করছিলেন। কিছুদিন আগে একটি গাভী বাচ্চাও দেয়।

আজ ভোরে একদল ডাকাত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে ইয়াবা উদ্ধার অভিযানের নামে গাড়িযোগে এলাকায় হানা দিয়ে গরু গুলো লুট করে নিয়ে যায়।

আরেক ভুক্তভোগী নূর আহমদ জানান, গভীর রাতে তার গোয়ালে থাকা গাভীসহ দুইটি বড় বড় গরু নিয়ে গেছে ডাকাতদল। গরু দুইটির আনুমানিক মূল্য হবে আড়াই লাখ টাকা।

গরুর খামারী মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ জানান, প্রতিদিন কোথাও না কোথাও গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গরু ডাকাত সিন্ডিকেট সদস্যরা অনেক শক্তিশালী। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য সাম্প্রতিক সময়ে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা, ফতেখাঁরকুল সহ বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে রামু থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আনোয়ারুল হোছাইন ঘটনাটি রহস্যজনক জানিয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •