বিনোদন রিপোর্টার:
ক্রীড়া এবং সংস্কৃতির সঙ্গে এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডনের রয়েছে চমৎকার আত্মিক সম্পর্ক। সেই হাঁটতে শেখার বয়সে ক্রীড়াঙ্গনে তার পথচলা। সংস্কৃতিটাও সমানভাবে বুকে ধারণ করে চলেছেন ওয়ালটনের এ জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা। অনেক পরিচয়ে পরিচিত একজন ডন। তবে সব ছাপিয়ে একজন ক্রীড়াপ্রেমী, সংস্কৃতিমনা হিসেবেই তিনি সর্বজনবিদিত। ক্রীড়াঙ্গনের মানুষের কাছে ওয়ালটনের প্রিয় ডন ভাই; কারো আবার প্রিয় ডন মামা। ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় ডন যেমন দেশের অবহেলিত খেলাগুলোকে এগিয়ে নিচ্ছেন; তেমনি শুদ্ধ সঙ্গীতচর্চার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রোগ্রামে গান গেয়ে ভিন্নরকম এক আনন্দ-বিনোদনও দিচ্ছেন। ক্রীড়া আর সংস্কৃতিকে যেন এক সুঁতোয় বেঁধে দিয়েছেন ডন।
দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্ট-অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন ডনের জন্য নতুন ঘটনা নয়। পল্টন এবং গুলিস্তানে অবস্থিত ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোতে ডনের গানের প্রোগ্রাম; তার সুরেলা কণ্ঠে গাওয়া গানগুলো শ্রোতামনে এর আগে ভীষণভাবে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। এবার ভিন্নরকম এক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে আবারো আলোচনায় এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসেসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন সময়ের আলোচিত এবং জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডন। ক্রাইম রিপোর্টারদের সংগঠন ক্র্যাবে এই ধরনের প্রোগ্রাম আগে কখনোই হয়নি। ক্র্যাবের সদস্যরা একেবারে নেচে-গেয়ে ডনের পারফরম্যান্স উপভোগ করেন।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। তাই দেশের গান দিয়েই অনুষ্ঠান শুরু করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডন। ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তিসেনা’- সৈয়দ আব্দুল হাদির গাওয়া এই গান দিয়েই অনুষ্ঠান শুরু করেন শিল্পী। এরপর একে একে দেশের সব জনপ্রিয় শিল্পীর গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় এবং শ্রুতিমধুর গানগুলো পরিবেশন করেন। যেমন- আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার বারিস্টার, তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে ফুল নিতে আসতে, আমি পাথরে ফুল ফোটাবো শুধু ভালোবাসা দিয়ে, আবার হবে তো দেখা এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো। আধুনিক গান সব সময়ই পছন্দ শিল্পী ডনের। এছাড়া ফোক গানেও বিশেষ পারঙ্গম তিনি। শিল্পীর গাওয়া প্রতিটি গানে নেচে-গেয়ে একেবারে করতালি দিয়ে উদযাপন করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ক্র্যাবের প্রতিটি সদস্য।
সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম প্রসঙ্গে ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি দারুণ হয়েছে। ডন ভাই একেবারে জমিয়ে তুলেছেন। ওনি যে এত ভালো গান করেন এটা আমার জানা ছিল না। অনুষ্ঠান দেখে এবং গান শুনে সবাই ভীষণ খুশি হয়েছেন।’ তমাল আরো যোগ করেন, ‘খেলাধুলার সঙ্গে সংস্কৃতির একটা যোগসূত্র আছে। গতকাল (মঙ্গলবার) পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যে সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম হলো এটা আমাদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ডন ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ তিনি এমন একটা অনুষ্ঠান আমাদের উপহার দিয়েছেন। আমরা ভবিষ্যতেও এই ধরনের অনুষ্ঠান রাখার চেষ্টা করব। ক্রাইম রিপোর্টারদের রিপোর্ট নিয়ে ব্যস্ততা, দিন-রাত পরিশ্রমের কথা সকলেরই জানা। এ ধরনের অনুষ্ঠান মানসিক প্রশান্তির জন্য দরকার।’
ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু বলেন, ‘ডন ভাইয়ের প্রোগ্রাম অনেক সুন্দর হয়েছে। অসাধারণ হয়েছে। ওনার গান শুনে সকলে প্রশংসা করেছেন। আমরা সদস্যরা নেচে-গেয়ে আনন্দ করেছি। ক্রীড়া প্রোগ্রামে আগে এ ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়নি। আমরা আমাদের সংগঠনের বর্ষপূর্তিতে ক্র্যাব নাইট করে থাকি। সেখানে গান-বাজনার আয়োজন থাকে। কিন্তু এই প্রথম ক্র্যাবের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলো। প্রত্যাশা রাখি ভবিষ্যতেও আমাদের এমন আয়োজন চলমান থাকবে।’
ক্র্যাবের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এস. এম. মিন্টৃ হোসেন বলেন, ‘আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ হয়েছে। প্রাণবন্ত হয়েছে। উপস্থিত সকলে দারুণভাবে সেটি উপভোগও করেছেন। ডন ভাই এমন পারফরম্যান্স উপহার দেবেন ভাবিনি। আমরা সবাই ডন ভাইয়ের গান শুনে নেচেছি। আনন্দ-হৈচৈ করেছি। সব মিলে অনুষ্ঠানটি সফল হয়েছে। এর আগে ক্র্যাবের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কোনো অনুষ্ঠান ছিল না। এবার নতুনভাবে এটি হয়েছে। অনুষ্ঠানটি হওয়াতে ভীষণ ভালো হয়েছে। ডন ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আশাকরছি ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন ক্র্যাবের পক্ষ থেকে রাখা হবে এবং সেখানে ডন ভাইকে সবাই পারফর্ম করতে দেখবে।’
দেশের ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব ক্রীড়া উৎসব-২০২২’ –এর পুরস্কার বিতরণ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, এমপি। আর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)। সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল।