রামুতে আজ প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে: ১০৬টি বিদ্যালয়ের ৯৬৮ জন শিক্ষার্থী 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রামু
রামুতে আজ শুক্রবার ১০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৬৮ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিবে। ২০১৯ সালের দীর্ঘ বিরতির পর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা হচ্ছে। রামু উপজেলার এগারো ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এগিয়ে থাকা ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষাসমাপনী পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী এবার ট্যালেন্টপুলে ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
বার্ষিক পরীক্ষা সবেমাত্র শেষ, সবারই তো ইচ্ছে হয় নতুন বর্ষ শুরু হওয়ার আগে একটু ঘুরাঘুরি করতে। বছরের শেষে এসে হঠাৎ করে ঘোষনা দিয়ে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। সিদ্ধান্তটি সময় বিবেচনা করে নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
রামু উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যার ভিত্তিতে মোট বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের মধ্যে জেন্ডারভিত্তিক মেধা অনুসারে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রদান করা হবে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ভিত্তিক ৩ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ২২৫ টাকা করে পাবেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার গৌর চন্দ্র দে জানান, ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রামু উপজেলার এগারো ইউনিয়নের ৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৪ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৬৮ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিবে। তৎমধ্যে ১০ জন ইংরেজি মিডিয়ামের শিক্ষার্থী। দুটো বিদ্যালয়কে বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ফতেখাঁরকুল, চাকমারকুল, জোয়ারিয়ানালা, রশিদনগর, গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও ঈদগড় ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের ৫৫০জন শিক্ষার্থী এবং রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে রাজারকুল, কাউয়ারখোপ, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ও খুনিয়াপালং ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের ৪১৮ জন শিক্ষার্থী শুক্রবার বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তিনি আরও জানান, দুইটো পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন কেন্দ্র সচিব, দুই জন হল সুপার ও দুই জন সহ-হল সুপার এবং ৩৮ জন কক্ষ পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করবেন। আশা করছি সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরও জানান, বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞান মোট চার বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রত্যেক বিষয়ের মান ২৫ নম্বর। পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা। বহু-নির্বাচনি এবং লিখিত দুই ধরনের প্রশ্নই থাকবে। ৪০ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে লিখিত। আর ৬০ শতাংশ প্রশ্ন হবে এমসিকিউ পদ্ধতির।
কয়েকজন শিক্ষক জানান, বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হতে নাহতেই কচিঁকাঁচা শিশুরা আবারও পরীক্ষা দিতে আগ্রহী নয়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে পরীক্ষার্থীদের ধরে রাখতে হিমশিম খেতে হয়েছে। আগামীতে বার্ষিক পরীক্ষার আগে পরিকল্পিত ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের অনুরোধ জানান তারা।
  •  
  •  
  •  
  •  
  •