হিরাম কক্সের অজানা ইতিহাস

 

অ্যাডভোকেট শিরুপন বড়ুয়া:
হিরাম কক্সকে আমরা জানি কক্সবাজারের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। এখানে শরনার্থী পুনর্বাসন সহ বার্মায় তাঁর মিশন সম্পর্কে আমারা মোটামুটি জানি। তবে হিরাম কক্সের জীবনের কিছু কিছু ইতিহাস নিয়ে সেভাবে আলোচনা হয়নি।
আসুন নতুন কক্সকে চিনি।

হিরাম কক্সের পেশাগত জীবনের একটি পুরো চিত্র পাওয়া যায় ১৭৯৫ সালে কলকাতা হতে প্রকাশিত জেনারেল মিলিটারি রেজিস্ট্রারে। এই রেজিস্ট্রার হিরাম কক্সের সমকালীন। উক্ত রেজিস্ট্রার অনুযায়ী কক্স আনুমানিক ১৯ বছর বয়সে
ক্যাডেট হিসেবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে যোগদেন ১৪ ই সেপ্টেম্বর ১৭৭৯ সালে। ঠিক তার একবছর পর ১৭৮০ সালের ১৮ ই সেপ্টেম্বর তিনি সামরিক বাহিনীতে কমিশন্ড অফিসারের প্রথম র‌্যাংক ‘এনসাইন’ অর্জন করেন, যা অনেকটা সেকেন্ড লেফটেন্যান্টের মতোই। এরপরের বছর ২৯ শে মে তাঁর লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি হয়। ১৭৮৮ সালের ২২শে ডিসেম্বর তিনি চাকুরি থেকে ইস্তফা দেন এবং ১৭৯১ সালে আবারো সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন ক্যাডেট হিসেবে হিরাম কক্স ভারতবর্ষে আসেন ১৭৭৯ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর।

অন্তত দুটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, কক্স সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেন ১৭৮৫ সালের ১১ই এপ্রিল। সেই দুটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের একটি হচ্ছে মেজর হডসন রচিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সামরিক অফিসারদের পরিচিতি মূলক গ্রন্থ
“List of the Officers of the Bengal Army” (পৃষ্ঠা -৪০০), এবং অপরটি হচ্ছে, “Journal of the Society for Army Historical Research.Vol.70” (পৃষ্ঠা-২৯)।
কিন্তু ১৭৯৫ সালে কলকাতা হতে প্রকাশিত জেনারেল মিলিটারি রেজিস্ট্রার মতে হিরাম কক্স সামরিক বাহিনী হতে ইস্তফা দেন ২২শে ডিসেম্বর ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে।
এখানে প্রকাশনার তারিখ অনুযায়ী “জেনারেল মিলিটারি রেজিস্ট্রার” হিরাম কক্সের সমসাময়িক, তাই এই রেজিস্ট্রারের তথ্য ভুল হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম। কিন্তু আগের দুটি গ্রন্থের তথ্যও কোনভাবে বাতিল যোগ্য নয়।
কক্সের সামরিক বাহিনী হতে ইস্তফা সংক্রান্ত তথ্য জটিলতা কাটাতে চতুর্থ একটি গ্রন্থ এক্ষেত্রে আমাদের সহায়ক হতে পারে। গ্রন্থটি হচ্ছে সেলিটর (B. A. Saletore) কর্তৃক সম্পাদিত “Fort William-India House Correspondence”।
এই বইটির নবম খন্ডে উল্লে­খ আছে, লেফটেন্যান্ট হিরাম কক্স (তখনো তিনি ক্যাপ্টেন হননি) কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কর্তৃপক্ষের নিকট হতে তিন বছরের জন্য চাকুরি হতে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেন এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে। তাও আবার পুরো তিন বছরের বেতন সহ, তবে অন্যকোন ভাতা তাঁকে দেওয়া হবে না জানিয়ে দেয়া হয়। কক্সের তিন বছরের সাময়িক অবসর জীবন শুরু হয় ১১ই এপ্রিল ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে। এখানে লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে, কক্স তাঁর কর্তৃপক্ষের নিকট অবসরের আবেদন করেছেন একটি নির্দিষ্ঠ সময়ের জন্য, ইস্তফা নয়।
কিন্তু “জেনারেল মিলিটারি রেজিস্ট্রার” অনুযায়ী কক্স চাকুরি হতে ইস্তফা দেন ২২শে ডিসেম্বর ১৭৮৮ সালে। তারমানে স্বেচ্ছায় ১৭৮৫ সালে তিন বছরের জন্য অবসরে যাওয়ার পর হিরাম কক্স ১৭৮৮ সালে এসে তিন বছরের সাময়িক অবসরের মেয়াদ শেষ করে চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে দেন।
যদিও ১৭৯০ সালের শেষের দিকে বা ১৭৯১ সালের প্রথম দিকে দিকে তিনি আবারো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদেন।
মাঝখানে বেশ কিছু বছর চাকুরি থেকে দূরে ছিলেন হিরাম কক্স। এই সময় তিনি কি করেছেন? কক্সের অবসর জীবনের এই সময়টুকু সম্পর্কে কিছু তথ্য বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া যায়। এই সময়টাতে কক্সের জীবনে সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো জীবন সঙ্গিনী হিসেবে মেরি ফ্রেজারকে বিয়ে করা। কক্স ১৭৮৭ সালের ৪ঠা নভেম্বর বিয়ে করেন আলেকজান্ডার ফ্রেজারের কনিষ্ঠ কন্যা মেরি ফ্রেজারকে। মেরি ফ্রেজার সম্পর্কে যে তথ্যগুলো পাওয়া যায় তাতে তাঁর পরিবার যে একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার এবিষয়ে কোন সন্দেহ থাকে না। এখন আলেকজান্ডার ফ্রেজার সম্প্রতি সামরিক বাহিনী হতে ইস্তফা দিয়েছেন, এমন একজন বেকার যুবক কক্সের সাথে তাঁর মেয়ের বিয়ে দিতে যাবেন কেনো? মেরি ফ্রেজারই কেনো একজন বেকার যুবককে বিয়ে করতে যাবেন?
না, আলেকজান্ডার যেমন কোন বেকারের হাতে মেয়েকে তুলে দেননি, তেমনি মেরিও কোন বেকার যুবককে বিয়ে করেননি।
বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যাচ্ছে যে, হিরাম কক্স ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর চাকুরি হতে বিরতি নিয়েছিলেন, এবং এই সমযটুকুতে তিনি বসে থাকেননি। তিনি চাকুরি হতে স্বেচ্ছায় অবসর এবং ইস্তফা দেওয়ার পর ‘ক্লাইভ’ (Clive) নামক একটি জাহাজের কমান্ডার হিসেবে কাজ করেন। ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের বাংলায় ইংরেজদের বিবাহ রেজিস্ট্রারের তালিকা হতে ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে কক্সের বিয়ের কথা জানা যায়। ঐ তালিকায় হিরাম কক্সকে ‘ক্লাইভ’ (CLIVE) নামক একটি জাহাজের কমান্ডার বলা হয়েছে।
এই জাহাজটি সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুজি করার পর সামান্য কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। এটি একটি ইস্ট ইন্ডিয়াম্যান ঘরনার বানিজ্যিক জাহাজ (East Indiaman), যা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রেজিস্ট্রারভুক্ত। বানিজ্যিক জাহাজ হলেও এতে ২৬টি কামান রাখার ব্যবস্থা ছিলো। জাহাজটি ব্ল্যাকওয়াল ইয়ার্ডে তৈরি করা হয় ১৭৬২ খ্রিস্টাব্দে। ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই জাহাজটির ক্যাপ্টেন ছিলেন জন অ্যালেন।

এরপর জাহাজটির ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে কে ছিলেন জানা না গেলেও এই জাহাজের কমান্ডার থাকা অবস্থায় তৎকালীন বোম্বে ট্রেজারিকে লেখা কক্সের দুটি চিঠির কথা জানা যায়। এটাও জানা যায় যে, হিরাম কক্স নিজে ঐ জাহাজটির মালিক ছিলেন ।

বার্মা মিশনের সময় হিরাম কক্স ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে জাহাজ নির্মাণের জন্য বার্মাটিক কাঠের গুরুত্ব কতখানি তা বোঝানোর চেষ্ঠা করেন। এই প্রসঙ্গে ইতিহাসবিদ আর্থার অ্যাসপিনাল তাঁর (Arthur Aspinall) লেখা
“English Relations with Burma in the time of Cornwallis and Shore (1786-1798)”
প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, হিরাম কক্স নিজেও বার্মাটিক কাঠ দ্বারা তৈরি একটি জাহাজের মালিক ছিলেন যা প্রায় ত্রিশ বছরের পুরনো। এটিই সেই ‘ক্লাইড’ নামক জাহাজ তাতে কোন সন্দেহ নেই।

সামরিক বাহিনীর চাকুরিতে বিরতি দিয়ে হিরাম কক্স তাঁর নিজের জাহাজটি নিয়ে মালামাল বহন সহ ব্যবসা বানিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন তথ্য সেরকম সাক্ষ্যই দেয়। কলকাতায় অবস্থিত ফোর্ট উইলিয়ামের কিছু চিঠিপত্রে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে পাঁচ বছরের জন্য চিনি বহন করার একটি চুক্তি সম্পাদিত হয় কক্স এবং সুমাত্রায় অবস্থিত কোম্পানির ফোর্ট মার্লব্রো এর ডেপুটি গর্ভনরের সাথে। চুক্তি অনুযায়ী এই কাজটি কক্স বেশ সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন মর্মে ফোর্ট উইলিয়াম কর্তৃপক্ষের চিঠিপত্র হতে জানা যায়।

সামরিক বাহিনীর চাকুরিতে প্রায় পাঁচ বছরের অধিক বিরতির পর হিরাম কক্স ১৭৯০ সালের ২৯শে অক্টোবর আবারো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীতে পূর্ব পদমর্যদায় অর্থাৎ একজন লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। তবে এবার তাঁর নতুন কর্মস্থল বর্তমান ইন্দেনেশিয়ার দ্বীপ সুমাত্রা। সুমাত্রার বেংকুলু শহরের সমুদ্র উপকূলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একটি দুর্গ আজো ঠায় দাড়িয়ে আছে। সাময়িক অবসরের পর এই দুর্গতেই হিরাম কক্স তাঁর সামরিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছিলেন। দুর্গটির নাম মার্লব্রো (Marlborough)। কক্সের সমসাময়িক “The East India Calendar or, Asiatic Register”
গ্রন্থের মার্লব্রো ফোর্টের মিলিটারি অফিসারদের তালিকা হতে জানা যায়, এই দুর্গতে হিরাম কক্স একজন লেফটেন্যান্ট হিসেবে পদাতিক বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেন। ঐ সময়টাতে তিনি দুর্গের পদাতিক বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে ফরাসিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৭৯৪ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারী ক্যাপ্টেন টমাস ব্রাউনের একটি ডিটাচমেন্ট অর্ডারের মাধ্যমে হিরাম কক্সের উপর এই দায়িত্ব অর্পন করা হয়।
১৭৯০ সালের ২৯শে অক্টোবর থেকে অর্থাৎ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীতে পুনরায় যোগদানের তারিখ হতে ফোর্ট মার্লব্রোতে ফরাসিদের সাথে যুদ্ধের পরবর্তী সময় পর্যন্ত কক্স ঐ দুর্গে তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন।

এরপর হিরাম কক্স ১৭৯৬ সালের শুরুতেই সুমাত্রা হতে বদলি হয়ে ভারতে চলে আসেন, এবং ঐ বছরের ৭ই জানুয়ারি ক্যাপ্টেন পদে তাঁর পদোন্নতি হয়।
এসময় কক্স সম্ভবত কিছুদিনের জন্য মাতৃভূমি স্কটল্যান্ডে চলে যান। ১৭৯৬ সালের জানুয়ারির ৯ তারিখ ফোর্ট উইলিয়াম কর্তৃপক্ষের এক চিঠির মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বেশ কিছু অফিসারের সাথে হিরাম কক্স ইউরোপ যাওয়ার অনুমতি পান।

তারমানে নিজ দেশ থেকে আসার পর তিনি কূটনীতিক হিসেবে বার্মা যাত্রা করেন।
কক্সবাজারের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে হিরাম কক্স সম্পর্কে আমরা যতটুকু জানি তা মূলত তাঁর ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি হওয়ার পর থেকে। এরপরের ইতিহাসটুকু প্রায় সবার জানা। কেননা কক্স নিজেই তাঁর জার্নালে বার্মার ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন। ক্যাপ্টেন কক্সকে র্বামায় প্রেরণ করা হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন কূটনীতিক হিসেবে।

স্যার জন শোরের প্রথম পছন্দ হিসেবে সদ্য ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি পাওয়া কক্স বার্মার উদ্দেশ্যে কলকাতা ত্যাগ করেন একই বছরের (১৭৯৬ খ্রিঃ) ১৫ই সেপ্টেম্বর, এবং রেঙ্গুন পৌঁছান অক্টোবরের ১০ তারিখ। দুদিন পর ১২ ই অক্টোবর কক্স জাহাজ ছেড়ে রেঙ্গুনের মাটিতে পা রাখেন।

একজন কূটনীতিক হিসেবে বার্মায় কক্সের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর ছিলো না। অবশ্য এজন্য কক্সকেই দায়ী করেন কেউ কেউ। তবে এবিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন খোদ মার্কুইস ওয়েলেসলি (Marquis Wellesley )। কক্স যখন তাঁর বার্মা মিশন শেষ করে ভারতে ফেরত আসেন, তখন ভারতের গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ওয়েলেসলি। তিনি নিজে বার্মায় কক্সের কাজ সর্ম্পকে সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, তিনি কক্সকে নতুন দায়িত্ব দিয়ে চট্রগ্রামে প্রেরণ করেন।

(চলবে)
[আগামী পর্বে থাকছে, রামুর বাংলো, হিরাম কক্সের মৃত্যু এবং কবরের বিষয়]

তথ্যসূত্রঃ
_________
১।Bengal Past and Present, Vol. XVI, Pat. 1 Serial No. 31, January -March 1918, Calcutta।
২। Major V. C. P. Hodson, List of the Officers of the Bengal Army 1758-1834, Vol.3, London, 1946।
৩।Bengal Past and Present, Vol. XVI, Pat. 1 Serial No. 31, January -March 1918, Calcutta।
৪। (B. A. Saletore.[edited] Fort William-India house Correspondence, Vol. IX, 1782-5, Reprint Delhi, 1959।
৫।Bengal Past and Present, Vol. XVI, Pat. 1 Serial No. 31, January -March 1918, Calcutta।

(https:/threedecks.org)

(https://www.abhilekh-patal.in/jspui/handle/123456789/1558125?searchWord=&backquery=[query=&filter_field_1=department&filter_type_1=equals&filter_value_1=Home%3A%3APublic&originalquery=&sort_by=score&order=desc&rpp=100&etal=0&start=3600])|

৬।Arthur Aspianll. English Relations with Burma in the time of Cornwallis and Shore (1786-1798), Bengal Past and Present, Vol.XL.
৭। Banerjee. Fort William-India House correspondence, Public Series, Vol. XI [1789-92], Delhi, 1974.
৮। The East India Calendar or, Asiatic Register For the Year 1797,London, MDCCXCVII.
৯। Harfield.ÒDetachment Order for Fort Marlboroigh SumatraÓ. ÒJournal of the Society for Army Historical Research.Vol.70, no.281, 1992.
১০।Banerjee. Fort William-India House correspondence, Military Series, Vol. XX [1792-96], Delhi, 1969।
১১।G. T. Bayfield. British Government in India and the Empire of Ava, Calcutta, 1835।
১২। The Monthly Review or Literary Journal, Vol. XCVIII, London, MDCCCXXII.

ছবিঃ ইন্টারনেট।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •