চট্টগ্রাম ১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় শীর্ষে ড.জমির উদ্দিন সিকদার

এস এম হুমায়ুন কবির:

চট্টগ্রাম -১৬ আসনে নতুন চমক ড.জমির উদ্দিন সিকদার। দীর্ঘ সময় সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যানারে ড.জমির উদ্দিন সিকদার মানবতার কল্যাণে কাজ করায় সাপ্তাহিক শীর্ষ খবর পত্রিকার জনমত জরিপে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসাবে অভিহিত করেছেন বাঁশ খালি সংসদীয় আসনের আপামর জনগণ।গেল করোনা কালীন সময়ে বাঁশ খালি সংসদীয় আসনের জনগনের সুখ-দুঃখের কেবলই দেখভাল করেছেন ড. জমির উদ্দিন সিকদার। কোভিড -৯ যখন বাঁশখালিতে জ্যামিতিক হারে সংক্রমিত হয় তখন লাশ দাফন-কাপন সহ মানবিক কাজগুলো জনগনের অন্তরে স্হান করেছেন ড.জমির উদ্দিন সিকদার। হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে চরম দুর্সময়ে প্রয়োজনীয় চাল,ডাল,তেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন ড.জমির উদ্দিন সিকদার।

চট্টগ্রাম -১৬ (বাঁশখালী) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলীয় ফোরামে হঠাৎ আলোচনায় উঠে আসছে ড. মো. জমির উদ্দীন সিকদারের নাম। ড. জমির উদ্দীন সিদকার নিজের মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্য্য নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। নীরবে মানুষ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এই নিরহংকারী ও সাদা মনের মানুষটিকে সর্বদা অসহায়, বিপদগ্রস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যায়। ছাত্রজীবন থেকেই এই মেধাবী মানুষটি স্বোচ্চার ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতিতে মানবিকতার দ্যুতি ছড়িয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সর্বমহলের কাছে তিনি মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। মহামারী করোনাকালীন সময়ে ঢাকা সহ নিজ এলাকা চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পরিচিত লাভ করেন মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে। অভুক্ত পরিবারে অন্নদান, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ মানবিক কাজে তিনি ইতোমধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। অত্যন্ত বিনয়ী ও মেধাবী এই মানুষটি ‘তারুণ্যের নেতৃত্ব ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক’ বিভিন্ন সভা সেমিনারে দেশের প্রতিনিধি হিসেবে এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে অংশগ্রহণ করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজ এর গভর্ণিং বডি’র পর পর দুইবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং অবহেলিত কলেজটির ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপরের মহলে ওনার যাতায়ত রয়েছে এবং ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। পরিচ্ছন্ন ও সৎ রাজনীতিক হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত। তাই এই মানবতার ফেরিওয়ালা একদিন সত্যি সত্যি বাঁশখালীর ফেরিওয়ালা হয়ে চমক দেখাতে পারেন। বাঁশখালীর তরুণ সমাজ ও সাধারণ মানুষ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড. জমির উদ্দীন সিকদারকে চায়, যা বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে। দলীয় ফোরামে এবং বিভিন্ন মহলে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নাম উঠে আসার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ড. জমির উদ্দীন সিকদার বলেন, বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা আমাকে ভালোবাসেন, বাঁশখালীবাসীও আমাকে ভালোবাসেন তারা ভালোবাসেন বলে বিভিন্ন জায়গায় এমপি প্রার্থী হিসেবে হয় তো তারা আমার প্রস্তাব করে আসছে, তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে যোগ্য মনে করবেন তাবে মনোনয়ন দিবে সেখানে এর বাইরে কোন কিছু বলার নেই।
উল্লেখ্য চট্টগ্রাম-১৬(বাঁশখালী) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ কবির লিটন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি, বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বারবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ডেপুটি এর্টনী জেনালের এইচ এম জিয়া উদ্দীন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মোহাম্মদ এরশাদ চৌধুরীসহ অনেকের নাম বিভিন্ন মহলে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে শুনা যাচ্ছে।