এম.এ আজিজ রাসেল:
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় নুনিয়ারছড়া তিন রাস্তার মোড় থেকে কক্সবাজার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে সভাপতি পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম চিশতীর নেতৃত্বে বের করা হয় বিশাল পবিত্র জশনে জুলুসের র্যালী।
ভোর সকাল থেকে সাদা ও সবুজ পায়জামা-পাঞ্জাবী এবং পাগড়ি পরে জশনে জুলুসে যোগ দিতে ছুটে আসে শিশু থেকে শুরু করে হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান। সবার হাতে শোভা পায় ধর্মীয় পতাকা, প্লেকার্ড, পেস্টুন ও ব্যানার। বর্ণিলভাবে সাজানো হয় র্যালীতে অংশ নেয়া যানবাহন।
র্যালীটি প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে। এতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেয় প্রায় ৩০ হাজার নবী (স.) প্রেমী। র্যালীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকলের মুখে মুখে ছিল রাসুল (স.) এর প্রতি দরূদ পাঠ।
পরে আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম চিশতির বাড়িতে মিলাদ, মোনাজাত ও তবররুক বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) এর কর্মসূচি।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সভাপতি পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম চিশতি বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) (৫৭০-৬৩২ খ্রি.) ছিলেন মানবজাতির অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় মহান উদার, বিনয়ী ও নম্র ব্যক্তিত্ব। তিনি উত্তম চরিত্র ও মহানুভবতার একমাত্র আধার। পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, প্রতিবেশী সবার অকৃত্রিম শিক্ষণীয় আদর্শ ও প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নবী করিম (সা.) একাধারে সমাজসংস্কারক, ন্যায়বিচারক, সাহসী যোদ্ধা, দক্ষ প্রশাসক, যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক এবং সফল ধর্মপ্রচারক। তাই নবী করিম (সা.)-এর সুমহান জীবনাদর্শ থেকে মানুষের প্রতি সর্বোত্তম ব্যবহার, বিনয়ী চরিত্র, বিনম্র ব্যক্তিত্ব, আনুগত্যতা, সহযোগিতা ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনসেবা ও মানবকল্যাণ সু-নিশ্চিত করা বাঞ্ছনীয়।
প্রিয় নবীর শুভাগমণ উপলক্ষ্যে বর্ণিলভাবে সাজানো হয় পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহর।