হাসান তারেক মুকিম:
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে কক্সবাজারের রামুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে কল্প জাহাজভাসা উৎসব। এদিকে গতকাল থেকে সন্ধ্যাকাশে উড়ানো হয়েছে একের পর এক দৃষ্টিনন্দন উজ্জ্বল ফানুস।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রামুর বাঁকখালী নদীর চরে এই উৎসবে ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের। ধর্মীয় গুরুরাও বলছেন, এমন উৎসব ধর্মীয় সম্প্রীতি বাড়ায়, দৃঢ় করে মানুষে মানুষে সম্পর্ক।
রবিবার(২৯অক্টোবর) বিকেলে বাদ্যবাজনার তালে তালে রামুর বাকঁখালী নদীতে শত শত তরুণ-তরুণীদের উচ্ছ্বাস আর উল্লাসের মধ্য দিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে রং বেরঙের দৃষ্টিনন্দন কাগজের কল্প জাহাজ। এতে শুধু বৌদ্ধরা নয়, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ অংশ নেয়।
এ উপলক্ষে জাহাজভাসা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অর্পণ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) তাপ্তি চাকমা, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা,রামু থানা অফিসার ইনচার্জ আবু তাহের দেওয়ান।
জাহাজভাসা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক জিৎময় বড়ুয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, রামু উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পলক বড়ুয়া আপ্পু, সাধারন সম্পাদক রাশেদ আলী, কক্সবাজার পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি ডালিম বড়ুয়া,স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তপন মল্লিক, রামু প্রেস ক্লাবের সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
বৌদ্ধ ধর্ম মতে, প্রবারণা দিবসে এ রকম সুসজ্জিত জাহাজে করে মহামতি বুদ্ধ বৈশালী নগর থেকে রাজগৃহে ফিরেছিলেন। এ সময় পথে মানুষ, দেবতা, নাগ সবাই বুদ্ধকে পূজা করেছিল। সেই ঘটনা স্মরণে প্রায় শত বছর ধরে রামুতে জাহাজভাসা উৎসব হয়ে আসছে।