পিএমখালীতে বিট কর্মকর্তাকে হেনস্থাকারী ভূমিদস্যু আলী হোছাইনের কুঁটির জোর কোথায়?

বার্তা পরিবেশকঃ
কক্সবাজর সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের দিঘীর ঘোনা বিট কর্মকর্তাকে জিম্মি করে জনসম্মুখে হেনস্থার ঘটনায় ১৯ দিন পরও মামলা হয়নি। এতে করে বনবিভাগের লোকজন সরকারী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে বলে জানাগেছে।

বিট কর্তা রবিউল ইসলাম ও সরজমিন পরিদর্শনে জানাগেছে, গত ১৪ অক্টোবর বিকেল ৪ টায় পি,এম,খালী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমদ বাবুল ও দিঘীর ঘোনা বিট কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বনকর্মীরা স্হানীয় পাতলী মাছুয়াখালী মৌজার সংরক্ষিত বনভূমি, যাহার আরএস দাগ নং- ১১৮৪ সার্ভেয়ারের মাধ্যেমে পরিমাপ করে অফিসে ফিরছিলেন।
প্রতিমধ্যে (১নং ওয়ার্ড) ছনখোলা পশ্চিমপাড়ায় সরকারী বনভুমিতে অবৈধভাবে বাড়ী নির্মানের দৃশ্য দেখতে পেয়ে বনকর্মীরা তার ছবি ধারন করেন,
এসময় অবৈধ দখলদার ও ভূমিদস্যু একাধিক বন মামলার আসামী আলী হোছাইনের পুত্র মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে মহিলা সহ ৩/৪ জন ভুমিদস্যু এসে বিট কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে টেনে হিঁচড়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী জিন্মি করে রাখে। পরে স্থানীয় জনতা এসে বনর্মীদের উদ্ধার করে।
এব্যাপারে বিট কর্তা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬ অক্টোবর কক্সবাজার সদর মডেল থানায এজাহার দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়নি। এদিকে পুলিশ প্রশাসন কোন উদ্যেগ গ্রহন না করায় আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে বনকর্মীদের বিরোদ্ধে উল্টো অপপ্রচার ও হুমকী অব্যাহত রেখেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মোহাম্মদ আলীরা বনবিভাগের জমি জবর জবর দখল করে আছেন।  এর মাঝেও সম্পূর্ন পরিকল্পিত ভাবে বনকর্মীদের উপর ন্যাক্কার জনক এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
বিট কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, উক্ত ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় অভিযুক্ত আলী হোছাইন আমাদের কাছে এসে পায়ে ধরে ক্ষমা চান, পরে পুনরায় বনকর্মীদের বিরোদ্ধে অপপ্রচার ও হুমকী অব্যাহত রাখে।
এব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার মডেল থানার এস,আই আজিজ জানান, এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •