রামুর নাজেম মওলা সাহেদ ছায়া হত্যাকান্ডে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

সোয়েব সাঈদ, রামু
কক্সবাজারের রামুতে নাজেম মওলা সাহেদ ছায়া নামের যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কমলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ওসমান (৩৫) ও কাদের মিস্ত্রির ছেলে আলা উদ্দিন। বুধবার, ২৭ মার্চ দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ দুপুরে এ নিয়ে রামু থানা কম্পাউন্ডে সংবাদ সম্মেলন করে রামু থানা পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, গত মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ রাতে রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বদুপাড়া গ্রামে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। ওইদিন গ্রেফতারকৃত ওসমান, আলা উদ্দিন এবং কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বড় জামছড়ি এলাকার পেঠান সওদাগর প্রকাশ আবু বক্করের ছেলে দেলোয়ারের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র নাজেম মওলা সাহেদ ছায়া কে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যতম আসামী দেলোয়ার এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছুরিকাঘাতে নিহত নাজেম মওলা সাহেদ ছায়া রামুর কচ্ছপিয়ার রূপনগর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ আরও জানায়, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ৯ টায় দেলোয়ার, ওসমান ও আলা উদ্দিন মদ্যপ অবস্থায় বধুপাড়া ব্রীজের পাশে অবস্থান করছিলো। ওইসময় ফেরদৌস হিরো নামের এক ব্যক্তির সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ফেরদৌস হিরো বিষয়টি মুঠোফোনে নাজেম মওলা সাহেদ ছায়া কে অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে নাজেম মওলা সাহেদ ছায়া রাত ১০ টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে মদ্যপ ৩ যুবকের কাছে ফেরদৌস হিরোকে নাজেহাল করার কারণ জানতে চান। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মধ্যপ যুবকরা উত্তেজিত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে নাজেম মওলা সাহেদ ছায়ার শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাত করে। মূমূর্ষু অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রাণ হারান নাজেম মওলা সাহেদ ছায়া। খবর পেয়ে রামু থানা ও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকান্ডের সত্যতা পান। এরই প্রেক্ষিতে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বুধবার, ২৭ মার্চ দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে হত্যাকান্ডে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করে অন্যতম আসামী ওসমান ও আলা উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ওসি আবু তাহের দেওয়ান আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে গ্রেফতারকৃতরা এ হতাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।  পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী দেলোয়ারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। পরবর্তী তদন্তে বিস্তারিত রহস্য উদঘাটিত হবে।
  •  
  •  
  •  
  •  
  •