নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড়ের পূর্ব তিতার পাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত জেরে লোকজন নিয়ে বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার একটি অভিযাত হোটেল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে তপন শর্মা (৩৫) নামে একজন এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তপন শর্মা বলেন , ‘পূর্ব বিরোধের জের ধরে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১২টার দিকে
অরুবিন্দু শর্মা,সুবদম রুদ্র সজল শর্মা,জগদিশ শর্মা,কল্যান শর্মা নেতৃত্বে ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের বসত বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে বাড়ির বাউন্ডারি দেয়াল ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
তিনি আরো বলেন এক পর্যায়ে তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা অতর্কিত বাড়ি হামলা চালিয়ে আমার বৃদ্ধা মা কে মারধর করে। এ সময় তার হাতে ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার হাসপাতালে পাঠায়। তপন শর্মা বলেন তাদের পৈত্রিক বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনি দিয়ে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
তপন শর্মা অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা কাঠের রুল দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মা আমার স্ত্রী সন্তানের মাতায় আঘাত করে এবং কিল, ঘুষি, থাপ্পড় মেরে মধ্যযোগীয় কায়দায় রক্তাক্ত করে। আমার অসুস্থ মাকে লাথি ও থাপ্পর মারে এখন উনি হাটতেও পারছেন না। আমার ছোট ছোট ভাতিজা-ভাতিজি তাদেরকেও ছাড়েনি ওরা। সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র গলায় ধরে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় এবং চিৎকার করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি ভয়ে চিৎকার দি নাই। আর ৮/১০ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে প্রবেশ করে আসবা পত্র ও ঘরের টিনের বেড়া রামদা দিয়ে কুপিয়ে ভাংচুর করে মাটির সাথে মিশিয়ে পেলে। এমন নৃসংস সন্ত্রাসী হামলা কখনোই আর হয়নি। ঘটনার বিষয়ে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা ঘর থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা তিন ভরি স্বর্ণ ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
এমন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কিত। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি এই বিষয়ে আমরা প্রশাসনের কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা সহ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।