হাসান তারেক মুকিম, মোঃ নুরুল হক সিকদার
কক্সবাজারের রামুর জোয়ারিয়ানালা মইশকুম নন্দাখালী সড়কের পাশে কৃষি জমিতে বলী খেলা ও বৈশাখী মেলার নামে চলছে রমরমা জুয়ার আসর। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে এ জুয়ার আসর চলমান থাকলেও অদৃশ্য কারনে তারা নির্বিকার। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রুবেল ও কবির বলির নেতৃত্বে গত ৪ জুন থেকে বৈশাখের বলী খেলার নামে এ জুয়ার আসর চলছে। বলী খেলার নামে এসব জুয়ার জমজমাট আসর দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। এদিকে এসব আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত একাধিক ব্যক্তি জানান- তারা উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে এসব আসর পরিচালনা করছেন।
বুধবার (৫ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একপাশে চলছে নামে মাত্র বলী খেলা। আর একপাশে হৈ হুল্লোড় করে অনেকটা উৎসবের আবহে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। সন্ধ্যা ৬ টায় বলি খেলা শেষ হলেও রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে জমজমাট জুয়ার আসর । ছয় গুটি, ডাব্বু খেলা, পয়সা খেলা, চাক্কি খেলা সহ সেখানে ১০/১২টি স্টলে চলছিলো জমজমাট জুয়ার আসর। এসব আসরে জুয়া খেলায় মেতেছে শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ সহ সব বয়সের মানুষ।
সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রভাবশালীরা মিলে মোটা অংকের টাকা ভাগবাটায়োরা করতে নানা অসঙ্গতি ও অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে বলিখেলার নামে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি জুয়ার আসর। মেলায় এ জুয়ার আসর পরিচালনার জন্য ৬ লাখ টাকায় নিলামে নিয়েছেন স্থানীয় তাজুল ইসলাম। এবিষয়ে জানতে তাজুল ইসলামকে একাধিক বার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলছে জুয়াড়িরা। সর্বস্বান্ত হওয়ার আগে জুয়া খেলা থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। অনেকে জুয়া খেলে শুন্য হাতে বাড়ি ফিরছে।
জুয়া খেলার বিষয়ে জানতে আয়োজক কমিটির সাবেক ইউপি সদস্য রুবেলকে বার বার ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান- মেলায় জুয়ার আসর বসানোর খবর পেয়ে পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে। তাছাড়া বলী খেলা ও বৈশাখী মেলার অনুমতি দেয়ার এখতিয়ার ওসির নেই বলে জানান এ অফিসার।