মো: নুরুল হক সিকদারঃ
রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন আলোচনায়।তবে তাদের মধ্যে চার জন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পদ-পদবিধারী। সব প্রার্থীর সমর্থকরা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। যারা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই হুইপ কমলের সমর্থন পেলে নির্বাচনে অংশ নেবেন। আর না পেলে সরে দাঁড়াবেন। তবে নুরুল হক চৌধুরী, আলম ও জামাল শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে পাঁচ বছর ও ২০২১ সালে আড়াই বছর দায়িত্ব পালনের পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে গত ২৯ এপ্রিল ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে রামু উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো। গেল ২৯ মে ইভিএমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করার পর ফফতেখাঁরকুল উপনির্বাচন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯ অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান-১ (৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য) কামাল উদ্দিন। ২০২১ সালের নভেম্বরে এই ইউনিয়নে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সে হিসেবে আড়াই বছর অতিবাহিত হয়েছে বর্তমান পরিষদের সময়কাল।
রামু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম মহীউদ্দিন বলেন- নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইউপি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেনি। তবে ৬ষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পূর্ণ করে উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আইনের ৩৬ ধারা অনুযায়ী-” যদি কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যের পদ তাঁর মৃত্যু, পদত্যাগ, অপসারণ বা অন্যবিধ কারণে তাঁহার মেয়াদ পূর্তির কমপক্ষে ১৮০ (একশত আশি) দিন পূর্বে শূন্য হয়, তাহলে, শূন্যতার তারিখ হতে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে অবশিষ্ট সময়ের জন্য শূন্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে”।
উপনির্বাচনে যে ৬ প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক চৌধরী, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় পরিচালক ও রামু ফকিরা বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ নুরুল আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জামাল কোম্পানি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পলক বড়ুয়া আপ্পু, সাধরণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ আলী, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শাহ আলম বাদল এর পুত্র উপজেলা যুব লীগ নেতা এডভোকেট তানভীর শাহ।
শেষ পর্যন্ত কারা ভোট যুদ্ধে অবর্তীণ হবেন তা জানতে প্রায় ৩২ হাজারের বেশি ভোটার সংখ্যার বৃহত্তর এই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অপেক্ষা করতে হবে তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত।