রামুতে ইউপি মেম্বার আবু তালেবের বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রামুর জোয়ারিয়ানালার ইউপি মেম্বার আবু তালেবের বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

সরকারীভাবে পাহার কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকলেও আইনের তোয়াক্কা না করে নুনাছড়ি ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু তালেবের নেতৃত্বে

নুনাছড়ি বটতলি ঝিরিপুকুর সংলগ্ন এলাকায় দিনে রাতে বিরামহীনভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত রয়েছে।

এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও পারছেন না। প্রভাবশালী মহলটি ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতের আধাঁরে পাহাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলছে। ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকি মুখে পড়েছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সাবেক সাংসদের ঘনিষ্ট হওয়ার সুবাদে এলাকায় একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে আসছিলো মেম্বার আবু তালেব। যার ফলে টানা ১৫ বছর অপ্রতিরোধ্যভাবে নুনাছড়ির সিংসভাহ পাহাড় কেটে সাবাড় করেছে। ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পরেও তার প্রভাবে কোন ব্যথ্যয় ঘটেনি। নির্দ্বিধায় পাহাড় কাটা ও মাটি পাচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ক্ষমতার জোরে ভয়ে এলাকার কেউ সহজে মুখ খোলার সাহস পায় না। মেম্বার হওয়ার সুবাদে উন্নয়ন কাজের না ভাঙ্গিয়ে সরকারি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে চলছে বিভিন্ন জায়গায়। এক কথায় জনসেবার নামে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে পাহাড়ের কর্তনকৃত মাটি।

 

নুনাছড়ির এলাবাসীর অভিযোগ, মেম্বার আবু তালেবের নেতৃত্বে এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কেটে তা ট্রাক ও মিনি ট্রাক যোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাটি বোঝাই ভারী ট্রাক চলাচলের কারনে গ্রামীণ সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে খানা খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় নিরাপদ সড়ক যোগাযোগে দূর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।

সুত্র মতে, দিনে ও রাতে সমান তালে বিভিন্ন লোকজনের বসত বাড়ির উচু পাহাড় কাটা হচ্ছে। এসব মাটি প্রতিনিয়ত ডাম্পার ট্রাক ও মিনি ট্রাক দিয়ে পাচার করে যাচ্ছে। কাটা পাহাড়ের মাটিগুলোও বিক্রি করে বিভিন্ন স্থানে বসত ভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভরাট কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। একই সাথে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মেম্বার আবু তালেব।

এদিকে পাহাড় কেটে মাটি পাচারের ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে পাহাড় ধসের আতঙ্ক বিরাজ করছে। একই সাথে নির্বিঘ্নে পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

জানা যায়, রামু উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় কাটার উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা মানছেন না পাহাড় খেকোরা। ফলে ওই এলাকায় পরিবেশের মারাত্মক হুমকি সহ জনজীবনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এব্যাপারে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু তালেবকে বার বার ফোন করেও কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, পাহাড় খেকোদের ব্যাপারে কোন আপোষ চলবেনা। তিনি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।

 

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •