হাসান তারেক মুকিম:
কক্সবাজারের রামুর কাউয়ারখোপে গরু চোরাচালান বিরোধকে কেন্দ্র করে গুলাগুলিতে মো: নবী(৪৮) নামে একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তি পার্শ্ববর্তি এলাকা পশ্চিম গনিয়াকাটা গ্রামের মৃত আলী আকবরের পুত্র।
সোমবার(৩১ মার্চ) বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চৌধুরী খামার এলাকায় এঘটনা ঘটে। জানা যায়, সীমান্ত ফাকিঁ দিয়ে আগত গরু (টানার) পাচারে প্রভাব বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে মোঃ নবী নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। এদিকে উক্ত খুনের ঘটনাটি গরু পাচারকে ঘিরে নয়, মূলত আর্থিক লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটেছে এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান,নিহত মোঃ নবীর সাথে তার চাচাত ভাই মোঃ হাছন, হোছন, সানী ও হানিফের সাথে গরু পাচারের জেরে সংঘর্ষ বাধে। এসময় প্রতিপক্ষের গুলিতে মোঃ নবী ঘটনাস্থলে নিহত হয়। ইতিপূর্বে ঘাতক গ্রুপটি প্রকাশ্যে এলাকায় কয়েকবার অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছিলো।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, চাচাতো ও জেঠাতো ভাইদের মাঝে আর্থিক লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে একজন নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, মিয়ানমার থেকে অবৈধ পন্থায় আসা চোরায় গরু পাচারের নিরাপদ সড়ক হিসেবে গর্জনিয়া-উখিয়ারঘোনা পাহাড়ি সড়কটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। গরুর সাথে একই সাথে আসছে ইয়াবা, আইস, স্বর্ণ, সিগারেট, সুপারি সহ বিভিন্ন বিদেশী পন্য। এসব অবৈধ পন্য পাচার অব্যাহত থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোন ভূমিকা চোখে পড়ছে না। যার ফলে রামু ও নাইক্ষ্যছড়ি দুই উপজেলায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি চরম অবনতির আশংকা দেখা দিয়েছে।