মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান:
দীর্ঘ ১৭ বছর পর জীবিত অবস্থায় খোঁজ মিলেছে নিখোঁজ সৌদি প্রবাসি হায়দার আলীর। পাকিস্তানের পেশুয়ার রাজ্যের একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার সন্ধান পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি টিকটক ভিডিওর সূত্র ধরে তার সন্ধান পাওয়া যায়।
জানা যায়, রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের পূর্ব মোহাম্মদপুর গ্রামের রেমিট্যান্স যোদ্ধা মৃত বেলাল উদ্দিনের ছেলে হায়দার আলী ২০০৯ সালে সৌদি আরবে মক্কায় মুদির দোকানে কর্মরত অবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে নিখোঁজ হন। পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন বহু চেষ্টা করেও তার কোনো খোঁজ পাননি। স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ পরিবারটির তখন থেকে চরম উৎকন্ঠায় ও হতাশার মধ্যে দিন কাটছিল।
সম্প্রতি ‘টিকটক’ নামক ভিডিও প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয় এক মানসিক রোগীর ভিডিও! ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ জাগে তারই খালাতো ভাইয়ের! যিনি বর্তমানে দুবাই প্রবাসী। তিনি ভিডিওটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হন যে, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিই নিখোঁজ হায়দার আলী
পরিবারের সদস্যদের ভিডিওটি দেখালে তারাও চেহারা, আচরণ ও কথা বলার ধরন দেখে নিশ্চিত হন। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি বর্তমানে পাকিস্তানের পেশুয়ার রাজ্যে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্ত্রী নূর আয়েশা বেগম বলেন,“আমার স্বামীকে ভিডিওতে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ি। এতদিন পর তার সন্ধান পাওয়াটা আমাদের জন্য অলৌকিক ঘটনা। আমার এখন একটাই কামনা যেন তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি। তবে প্রক্রিয়াটি সহজ নয়। প্রশাসনিক জটিলতায় আটকে আছেন তারা।”
তিনি আরও বলেন,“ আমি প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করছি। যাতে আমার স্বামীকে দ্রুত ও নিরাপদে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা যায়।”
এদিকে নিখোঁজ প্রবাসি হায়দার আলীর পরিবার ও গ্রামবাসীর একটাই প্রার্থনা, যেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হায়দার আলীকে দ্রুত তার পরিবারের কাছে ফিরে পাওয়া।