বার্তা পরিবেশক:
মনগড়া অভিযোগ তৈরী করে জরিমানা, আইন অমান্য করে করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান এবং কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার পাঁয়তারার নানান অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ এর বিরুদ্ধে।
তথ্যসূত্রে জানাযায়, (বোধবার ) ৭মে বিকেলে কক্সবাজার শহরতলীর লিংরোড ও উত্তর রুমালিয়ারছড়া এলাকায় ক্ষুদ্র দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার। অভিযানে মিয়াদোত্তীর্ণ ও মূল্য তালিকা না ঠাঙ্গানোর দাবিতে চারটি দোকানকে সর্বমোট ১৭হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া উল্লেযোগ্য কোন ত্রুটি না পাওয়ায় দাবী করে লিংরোডসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ প্রদান করা হয় বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এই কর্মকর্তা।
তবে জরিমানা আদায় কারী এম হোসাইন কুলিং কর্ণার,বিছমিল্লাহ স্টোর,আবছার স্টোর ও মিতিলা স্টোরসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,
প্রায় সময়ে “উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছু মানুষের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের মতো ছোট খাটো ব্যবসায়ী ও দোকানদাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় তাঁরা। কিন্তু যারা আমদানি করে, মজুত করে, যারা সংকট তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়না। তাঁরা আরও বলেন, “তাদের সাথে থাকা সংশ্লিষ্ট লোকজন ও আনসার সদস্যদের বেপরোয়া আচরণে অভিযান স্থলে এক ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এছাড়া আনসার সদস্যদের হাতে থাকা লাঠির গুতনিতে দোকানদারদের অনেক মালামাল নষ্টও করে ব্যবসার ক্ষতিসাধন করেছে তাঁরা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান তাদের দোকানে যে মেয়াদোউত্তীর্ণ মালামাল পেয়েছে এগুলো হলো কোম্পানিকে ফেরত দেওয়ার জন্য জড়ো করে রেখেছে। এছাড়া প্রথমে তাদের সতর্ক করতে পারতো। কিন্তু তা না করে মনগড়া জরিমানা ও বেপরোয়া আচার-আচরণ করে তাদের ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতি করে। এছাড়া এগুলো নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরবর্তীতে এসে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিধামকিও দিয়ে যায় তাঁরা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ এমন দমন-পীড়ন চালালে ব্যবসার পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে তাদের।
ব্যবসায়ীরা জানান, এধরণের প্রশ্নবিদ্দ অভিযানে ভুক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালককে শেষমেশ চাকুরীচ্যুতও হতে হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ এ বলেন আমার সাথে কোন অভিযোগ থাকলে আমার ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাকে জানান।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালা্হউদ্দিনের সাথে কথা বললে বিষয়টা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।