এম আবদুল্লাহ আল মামুন:
রামু উপজেলার গর্জনিয়া বাজার -দৌছড়ি ইউনিয়নের সংযোগ প্রধান সড়কের কচ্ছপিয়া দোছরী নারিকেল বাগান ষ্টেশনের পূর্ব পাশ নদী গর্ভে বিলীনের উপক্রম হয়েছে।
এতে করে এই সড়ক পথে বিজিবি সহ প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়তে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
সরজমিন পরিদর্শনে জানাগেছে
কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের একটি ব্যবসায়ীক, উৎপাদন ও রাজস্ব খাতের এলাকা হলো দোছরী গ্রাম এবং সড়কের সর্ব পুর্বে রাজস্বখাত ইউনিয়ন হিসেবে অবস্থিত পার্বত্য বান্দর বানের নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়ন।
যেখানে রয়েছে সীমান্ত রক্ষায় লেমুছড়ি বিজিবি ক্যাম্প সহ ৭/৮টি ফাঁড়ির অবস্থান ওবনবিভাগের অফিস সহ অসংখ্য স্কুল।
এছাড়াও লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায়ের অন্যতম স্থান হলো এই ইউনিয়ন ।
তারই ধারাবাহিকতায় এই সীমান্ত সড়কটি হয়ে উঠে অত্যন্ত ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ।
সড়কের নারিকেল বাগান নামক স্থানটি ২০১৫ সাল থেকে ভাঙ্গন দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়ায় সড়কের ওই অংশ নদী গর্ভে চলে যায়।
এতে করে ওই সড়কে যান চলাচল সম্পুর্ন রুপে বন্ধ হয়ে পড়লে কক্সবাজার ও বান্দরবান দুই জেলা প্রশাসক, নাইক্ষংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাঙ্গন স্হল পরিদর্শন করেন।
তারই প্রেক্ষিতে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এসময় বল্লি স্পার স্হাপন ও মাটি ভরাট করা হলে ক্ষনিকের দূর্ভোগ লাগব হয় যান চলাচল স্বভাবিকতায় ফিরে।
কিন্তু তা স্থায়ী রূপ নেয়নি,
এই সীমান্ত সড়কের ভাঙ্গন স্হলে পরিকল্পিত ও স্থায়ী প্রটেকশন না হওয়ায় গত বছর আবার রাক্ষুষে নদীর কবলে পড়ে সড়কটি। গত ২৪ সালের বর্ষা থেকে
শুরু হয় পুনঃ ভাঙ্গন, ধীরে ধীরে তা বড় আকার ধারন করে।
চলতি বর্ষায় পাহাড়ী ঢলে রাস্তার ৩ ফুট কার্পেটিং নদী গর্ভে চলে গেছে।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার এই গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব ফরিদ আহমদ বলেন সড়কটি সিমান্ত সড়ক ও জন গুরুত্ব বিবেচনায়
ভাঙ্গনরোধে এখনই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা দরকার।
অন্যতায় ওই সড়কে যে কোন মুহুর্তে যাতায়ত ব্যবস্হা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এতে করে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম , রাজস্ব আদায়ে বিঘ্নতা ও সীমান্তের অসংখ্য বিজিবি সদস্যের রেশন সরবরাহ, নিয়মিত টহল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে তিনি আশংকা ব্যক্ত করেন।
