কালারমারছড়া পরিষদে জন্মনিবন্ধন সনদ পেতে ভোগান্তি ও হয়রানীর অভিযোগ!

মহেশখালী প্রতিনিধি,
কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন সেবা নিতে আসা গ্রাহকেরা কর্মচারীদের নিকট হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।জানা যায়, কক্সবাজার জেলাসহ কয়েকটি জেলায় রোহিঙ্গাদের কারণে দেখিয়ে ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো জন্মনিবন্ধন কার্যত্রম বন্ধ করে দেয় সরকার। এর প্রায় ২ বছর ১১ মাস বন্ধ থাকার পরে কক্সবাজারে জেলায় গত ১ সেপ্টেম্বর চালু হলো জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম চালু হয়েছে বলে জানান কক্সবাজারের স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক শ্রাবস্তি রায়।
এদিকে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ভর্তি সহ নানা কাজে জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন হওয়ায় অভিভাবকেরা ভীড় জমিয়েছ পরিষদে। আর সেখানে গিয়েই জন্মনিবন্ধন সেবা নিতে আসা গ্রাহকেরা কর্মচারীর নিকট হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনুসখালীর মাইজপাড়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা সেবা প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, পরিষদে জন্মনিবন্ধন করতে এসে পরিষদে (ব্যক্তিগত) অফিস সহকারি রবিউল ইসলাম নামে এক কর্মচারী সেবা তো দিচ্ছে না বরং উল্টে হয়রানী করতেছে বলে জন্মনিবন্ধন এক মাস বা দুমাস ও লাগতে পারে । অন্যদিকে উত্তর নলবিলার কাব্য সৌরভ বলেন ইউনিয়ন পরিষদে না আসলে হয়রানি কি সেটা দেখতাম না বরং তারা ইউএনও’র বিষয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। সেবা প্রার্থীরা তাদের কাছে লাঞ্চিত হচ্ছে। সে বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঐ কর্মচারী তর্কাতর্কি শুরু করে দেন পরে তারা সেটা কর্মচারীদের করেছে বলে এডিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। হয়রানির বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একজন নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী বলেন, আজ এক সেবা প্রার্থীর সাথে ভূল বুঝাবুঝি নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে পরে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে। এবিষয়ে কালারমার ছড়ার চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফের মুঠোফোন সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাফুজুর রহমান জানান, জেলায় একটা মিটিং আছে, তবে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে কেন তার নাম ব্যবহার হচ্ছে এই বিষয়ে চেয়ারম্যানকে জবাবদিহি করতে হবে। আর সে বিষয়ে আমি খোঁজ নিচ্ছি। ###

  •  
  •  
  •  
  •  
  •