অপ্রতিরোধ্য ডাকাত শাহীনকে রুখবে কে?

প্রায় এক দশক ধরে চলছ তার রাজস্ব

প্রশাসনের কয়েক অসাধু কর্মকর্তার আশকারা ও সহযোগীতায় দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।

পান থেকে চুন খসলেই শুরু হয়ে যায় ডাকাত শাহিন গ্রুপের এ্যকশন। তার তামিল সিনেমাকেও হার মানায়। প্রাইশঃই প্রকাশ্যে ভারি অস্ত্র প্রদর্শন করে মটর সাইকেল বহর নিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ফাঁকা গুলি ছুটতে ছুটতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকা বিশেষ করে গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, ঈদগড় ও বাইশারীর অর্ধলক্ষাধিক মানুষ তার কাছে জিম্মি। তিনিই ঐ এলাকার স্বঘোষিত রাজা, চালাচ্ছে রাম রাজত্ব,  স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তার ভয়ে তটস্থ।

 

সীমান্তের বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠনের সাথে সংযোগ রয়েছে

ডাকাত শাহীনের নাম ধরে ছোট বাচ্চাদের ভয় দেখানো হয়

সীমান্তের অস্ত্র, মাদক, গরু সিগারেট সহ যাবতীয় চোরাচালান একচেটিয়া নিয়ন্ত্রন করছে। সঙ্গতকারনে স্থানীয় প্রশাসনরহ নিিূবিকার।

নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয়

তাকে অন্তরালে সহযোগীতা করছেন

সীমান্তের বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠনের সাথে রয়েছি তার সম্পৃক্ততা। গহীন পাহাড়ে রয়ে তার গোপন আস্তানা, সেখানে দেয়া হয় তার বাহিনীর কয়েক শত সদস্যের অস্ত্র প্রশিক্ষন, রয়েছে টর্চার রুম যেখানে অপরহরণ করে বৈদ্যুতিক সর্ট দেয়া হয় অপহৃতদের।

তার মতের বাইরে গেলে ধরে নিয়ে গিয়ে।

উপজেলার শীর্ষ ডাকাত রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরকাটার কুখ্যাত শাহীনুর রহমান ওরফে শাহীন ডাকাত

 

তবে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ছয় ইউনিয়নের অর্ধলাখ মানুষ এখনো আতঙ্কে রয়েছে।

কারণ হিসেবে স্থানীয়রা বলছে, ডাকাত শাহীনের বিশাল অস্ত্র ভাণ্ডার আছে। তৎমধ্যে শাহীনের কাছে একে-৪৭ রাইফেলসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিলো।

গর্জনিয়ার পূর্ববোমাংখিল গ্রামের সাহাব উদ্দিন জানান, গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দলবলসহ ভারী অস্ত্র উঁচিয়ে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতো ডাকাত শাহীন। নাইক্ষ্যংছড়ির রাবার বাগান মালিকরা ডাকাত শাহীনকে নিয়মিত চাঁদা না দিলে অস্ত্র ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিত। এখন সেসব অস্ত্র উদ্ধার করা সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।

গর্জনিয়ার ইউপি সদস্য মনিরুল আলম তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় গত ১২ জানুয়ারি শাহিন ডাকাত গ্যাং তাকে মারাত্নকভাবে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দেয়।
এর আগে গর্জনিয়ার মইন্যাকাটার ছুরুত আলম ও টাইমবাজারের আব্দুল হামিদকে মারধর এবং ব্যাপক নির্যাতন করে শাহীন ডাকাত গ্যাং। ছুরুত আলমকে জাহেলিযুগীয় কায়দায় বেঁধে তার টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ারও অভিযোগ আছে।

 

ইতিপূর্বেও শাহীন ডাকাত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিল।

তাকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকার সচেতন মহল সম্প্রতি একটি মানববন্ধন করেছিল। তার অপকর্মের ভয়ে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির ছয় ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ জিম্মি হয়েছিল। তার অপকর্মের বিষয়গুলি বিভিন্ন পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামি শাহীন আন্ত:উপজেলার একজন শীর্ষ ডাকাত। ডাকাতি, মাদক, গরু চোরাকারবারিদের সহযোগীতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত এই শাহীন ডাকাত। সে প্রায়শই রাতের বেলায় রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দলবলসহ সশস্ত্র মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতো। গত ১২ জানুয়ারি গর্জনিয়ার ইউপি সদস্য মনিরুল আলম তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় শাহিন ডাকাত গ্যাং তাকে মারাত্নকভাবে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দেয়।  এই চক্রটির ডাকাতি ও অপহরণের ভয়ে স্থানীয়রা চরম ভাবে আতঙ্কগ্রস্ত।

গ্রেফতারকৃত শাহীন ডাকাতের বিরুদ্ধে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ৫টি ডাকাতি, ৩টি অস্ত্র, ১টি মাদক, ৪টি হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে এবং সে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।

বলেন, শাহীন ডাকাত রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার একটি উদ্বেগের নাম।

 

সে সময় নবী বা খোকনের নাম শুনলেই মানুষ অজানা আতঙ্কে ভুগতো। শ্যামপুর এলাকায় দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি ছিল নবী ও খোকন গ্রুপের প্রধান কাজ।

………

১৯৭৫ সালের হিন্দি ব্লকবাস্টার মুভি শোলে

সিনেমাটিতে ঐ গাব্বার সিং এর একটা ডায়ালগ বেশ জনপ্রিয়তা পায়, বেটা শো যা ন্যাহি তো গাব্বার আ যা য়ে গা! মানে হল……..  বাবু ঘুমিয়ে পর নয়ত গাব্বার চলে আসবে।

যাইহোক, বাস্তব জীবনে গাব্বার না আসলেও এক দশক ধরে কক্সবাজারের রামুতে গাব্বার সিং এর চেয়েও নিষ্ঠুর মনুষ্যত্বহীন মানুষের আবির্ভাব হয়েছে। যাদের  ভয় দেখিয়ে, নাম শুনিয়ে বাচ্চাদের

ঘুম পাড়ানো হয়, এনকি তার ভয়ে বাচ্চাদের সাথে বড়রাও ঘুমিয়ে পড় ।

প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ, খুন,  চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, এমন কিছু নেই যার বাহিনী দ্বারা সম্পৃক্ত হয়নি। এ যেন বর্তমান তামিল সিনেমার দৃশ্যকেও হাড় মানিয়েছে।

রামু কক্সবাজার এবং নাইক্ষ্যংছড়ির সাজাপ্রাপ্ত দাগী আসামীদের  নিয়ে গঠন করা হয়ে ষাহীন বাহিনী। সীমান্তের বিচ্ছিন্নবাদীদের সম্পৃক্ততার সুবাদে অস্ত্র, মাদক, সিগারেট গরু চোরাচালান ব্যবসা একচেটিয়া নিয়ন্ত্রন করছে। এছাড়া অপরহন, জমিদখল, চাঁদাবাজি লুটপাট নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •