রামুর ডাকভাঙ্গা ও মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

রামু প্রতিনিধি:
রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দূর্গম জনপদে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গত ২২ ও ২৩ মার্চ রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত পৃথক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ জুয়েল তালুকদার, ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী খান, মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি আবদু শুক্কুর, সদস্য সুলতান আহমদ, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম, ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সেলিনা আকতার ও ফররুখ আহমদ, প্রধান শিক্ষক আরেফা বেগম।
অনুষ্ঠানে ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিক জুর্মি বড়–য়া, সালমা আকতার, সিরাজুল ইসলাম, আবদুল হামিদ, আরেফা আকতার, রাবেয়া বেগম, শিউলী রানী দে, মার্জিয়া বেগম, সালেহা আকতার, উম্মে সালমা, তৈয়বা আকতার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ জুয়েল তালুকদার জানিয়েছেন- অনুষ্ঠানে ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ পরিচালিত এ দুটি বিদ্যালয়ের ৪ শতাধিক ছাত্রছাত্রীর হাতে খাতা, কলম, স্টাফলার, পেন্সিল, রং পেন্সিলসহ সহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও জানান- রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের দূর্গম এলাকা মৈষকুম এবং কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দূর্গম এলাকা ডাকভাঙ্গা গ্রামে ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ নামে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠিত দুটি বেরসকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। এরফলে ওই গ্রাম দুটিতে অসহায় শিশুরা মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে। বিদ্যালয়ে পাঠদানের পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশে নিয়মিত ক্রীড়া-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার আয়োজন করা হয়। শিক্ষা উপকরণ পেয়ে দুটি বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এছাড়াও ফুড এইড প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ের এতিম, দরিদ্র-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণও অব্যাহত রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •